টাঙ্গাইল শাড়ি, জিআই স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ

প্রকাশিত




নিজস্ব প্রতিবেদক
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে প্রাথমিকভাবে স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) পক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিজি প্রেসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে এটি জার্নাল আকারে প্রকাশিত হবে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা টাঙ্গাইল শাড়ির জিআইয়ের প্রাথমিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে জানান।


ডিপিডিটির কর্মকর্তারা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ই-মেইলের মাধ্যমে জিআই সনদের আবেদন করেন। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রমাণ ও নথি পাঠান। আজ বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে জার্নাল আকারে তা প্রকাশিত হওয়ার পর দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যদি আপত্তি না জানায়, তাহলে জেলা প্রশাসন চূড়ান্ত সনদ পাবে।


আর এর মাধ্যমেই টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই স্বীকৃতি মিলবে।
সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারত টাঙ্গাইলের শাড়িকে নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এমন ঘটনায় বাংলাদেশে অনেক মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, অনেকে বিস্মিত হয়েছেন।

ডিপিডিটির কর্মকর্তারা বলছেন, টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশে।

ফলে ভারত তাদের দেশে এই শাড়িকে জিআই হিসেবে ঘোষণা দিতে পারে না। একই সঙ্গে জাতিসংঘের অধীন প্রতিষ্ঠান বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনে (ডাব্লিউআইপিও) আপত্তি জানানোর সুযোগ রয়েছে, তবে এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ডিপিডিটির পেটেন্ট (জিআই) বিভাগের সহকারী পরিচালক নীহার রঞ্জন বর্মণ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডাব্লিউআইপিওর নিয়ম অনুযায়ী জার্নাল প্রকাশের পর দুই মাস অপেক্ষা করতে হয়। এই দুই মাস সময় দিতে হবে। এরপর চূড়ান্ত সনদ দেওয়া হবে।

আমাদের অফিস থেকে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছি। এই দুই মাসের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষ আপত্তি করে কি না সেটা দেখার জন্য। তৃতীয় কোনো পক্ষ আপত্তি না করলে জিআই সনদ পাবে। ভারতও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে। ওদের জার্নাল প্রকাশ হওয়ার দুই মাস হয়ে গেছে।’

আপনার মতামত জানান