জেলা পরিষদ নির্বাচন : নিজের ভোটটিও পাননি ৯ প্রার্থী
সিরাজগঞ্জে জেলা পরিষদের নয়টির মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচনে নয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো ভোট পাননি। একই পদের আরো ১০ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মাত্র ৪৩টি। এ পদে মোট ৩৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। অন্যদিকে, তিনটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৮ জন প্রার্থী।
বিজ্ঞাপন
এদের মধ্যে ছয়জনের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মাত্র ৩৬টি।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) জেলার ৯টি উপজেলায় ইভিএমে শান্তিপুর্ণভাবে ভোট হয়। সন্ধ্যায় বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. ফারুক আহাম্মদ।
এর আগে চেয়ারম্যান পদে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং সাধারণ সদস্য পদে কাজিপুরে (১ নম্বর ওয়ার্ড) প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন ও উল্লাপাড়ায় (৬ নম্বর ওয়ার্ড) আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হওয়ায় এ তিনটি পদে ভোট হয়নি।
ঘোষিত নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে (সিরাজগঞ্জ সদর) ১৫৪টি ভোটের মধ্যে যুবলীগ নেতা একরামুল হক ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান দুদু ৫১, গোলাম আজম তালুকদার বাবলু ১৫, হামিদুল ইসলাম ৬, সাবেক ছাত্রনেতা আরাফাত রহমান খান ৩, গাজী ফজলুর রহমান খান ফজলু পেয়েছেন ২ ভোট। কিন্তু সাবেক ছাত্রনেতা খালেদ মোশারফ শাওন কোনো ভোট পাননি।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে (কামারখন্দ ও উল্লাপাড়ার একাংশ) ১০৬টি ভোটের মধ্যে আমিনুল ইসলাম খান ৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুল ইসলাম আমিনুল ৩৯, সুমাইয়া পারভীন ৫ ও আশিক আহম্মেদ পেয়েছেন এক ভোট। তবে অপর প্রার্থী আব্দুল আজিজ সরকার কোনো ভোট পাননি।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে (রায়গঞ্জ) ১৩৩টি ভোটের মধ্যে সুমন সরকার ৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোস্তফা ৪২ এবং ফিরোজ উদ্দিন খান পেয়েছেন নয় ভোট।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে (তাড়াশ) ১০৭টি ভোটের মধ্যে শরিফুল ইসলাম তাজফুল ৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সিরাজুল ইসলাম ৪০ ও আতাব আলী পেয়েছেন ১২ ভোট। তবে জালাল উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন নামে দুই প্রার্থী কোনো ভোট পাননি।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে (শাহজাদপুর) ১৩৩ ভোটের মধ্যে ভিপি আব্দুর রহিম ৭৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল হোসেন ৪৬, মাজেদ আলী ৪, সেলিম আক্তার ৩ ও কেএম নাসির উদ্দিন ভোট পেয়েছেন ১টি। তবে মিজানুর রহমান ও শাহেব আলী নামে দুই প্রার্থী কোনো ভোট পাননি।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে (বেলকুচি) ১২০টি ভোটের মধ্যে আমিনুল ইসলাম আল আমিন ৫২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান প্রামানিক ৪২, কামরুল ইসলাম ১৪ ও আলহাজ আলী ৯ পেয়েছেন ভোট। তবে মীর্জা মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ ও গাজী আব্দুল হামিদ আকন্দ নামে দুই প্রার্থী কোনো ভোট পাননি।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে (চৌহালী) ১২০টি ভোটের মধ্যে মাসুদ রানা ৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদুল ইসলাম সিরাজ ৩০, গণি মোল্লা ২৮ ও সাইফুল ইসলাম ১৮ ভোট পেয়েছেন। তবে অপর প্রার্থী রফিকুল ইসলাম কোনো ভোট পাননি।
সংরক্ষিত নারী সদস্যের তিনটি পদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ ও উল্লাপাড়ার একাংশ) মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩২টি। এরমধ্যে ১৮১ ভোট পেয়ে জুই পারভীন জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী সেলিনা পারভীন ১০৭, তানমীর সুলতানা রনী ১০০, ফারজানা সিদ্দিকা অপু ২২, মেরিনা খাতুন মদিনা ০৯, নাসরিন ইসলাম ৭ ও নুরে ফাতিমা পেয়েছেন ২ ভোট। বাতিল হয়েছে ২ ভোট।
সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের ২ নম্বর ওয়ার্ডে (রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার একাংশ) ৩৮৬ ভোটের মধ্যে মোছা. কামরুন্নাহার আলো ১৮৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পরি খাতুন ১৫৯ ও নিলা হক লুৎফা পেয়েছেন ৩৩ ভোট। বাতিল হয়েছে একটি ভোট।
সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (শাহজাদপুর, বেলকুচি ও চৌহালী) ৩৬৮ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোট প্রদান করেছেন। এ ওয়ার্ডে ১০৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নারগিছ খাতুন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লাবনী খাতুন ১০৩, সিমা খাতুন ৪৮, ফারজানা বাবলী চৌধুরী ৪৬, এলিজা খাতুন ৪৬, ফারজানা ফেরদৌসী ১০, মোছা. রেজিয়া ৭ ও মীর জান্নাতুল ফেরদেীসী পেয়েছেন ১ ভোট। আর বাতিল হয়েছে ২ ভোট।
আপনার মতামত জানান