জেলায় জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু
আগামীকাল সোমবার থেকে সারা দেশে নতুন কর্মসূচি শুরু করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঘোষণাপত্রের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ এবং নানা মাত্রার জনসংযোগ করবে তারা।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, পেশাজীবী মানুষের মাঝে জনসংযোগ চালাবে তারা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে মার্চ ফর ইউনিটিতে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সব অংশীজনকে নিয়ে এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করা হবে। এই অভ্যুত্থানে যেমন দেশের প্রতিটি মানুষের অংশগ্রহণ ছিল, আমরা মনে করি এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।
আমরা মানুষের কাছে ছুটে যেতে চাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ‘অভ্যুত্থানে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। আমাদের আহ্বান থাকবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার শিগগিরই কাজ শুরু করবে। সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হবে এসব কর্মসূচিতে। দাবিগুলো হলো—জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং আহতদের বিনা মূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে; অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে; জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না, বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এই অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে; ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ঘোষণাপত্রে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে; ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে; নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
আপনার মতামত জানান