‘জলন্ত লঞ্চটি দ্রুত তীরে ভেড়ানো হলে এত মৃত্যু হতো না’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘আগুন লাগার পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দ্রুত লঞ্চটি নোঙর করে পাড়ে থামিয়ে রাখলে এত লোকের মৃত্যু হতো না, যেহেতু নদী খুব ছোট। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি, যার কারণে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে।’
তিনি রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল এবং পুড়ে যাওয়া লঞ্চটির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। তিন তলা ওই লঞ্চের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাও কার্যকর ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে যা বলতে পারি, এই লঞ্চের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা তেমন কার্যকর ছিল না এবং যারা দায়িত্বে ছিল, তারা এটা ম্যানেজ করতে পারেনি। আমরা যখন ফায়ার ফাইটিংয়ে আসি, তখন আমরা দেখতে পাই যে, সম্পূর্ণ লঞ্চে আগুন জ্বলছে। এমনিতে নদীর ভেতর কোনো নৌ যানে আগুন লাগলে তা নেভানো সহজ হওয়ার কথা, যদি ফায়ার পাম্প ও হোসপাইপের ব্যবস্থা ঠিক থাকে। কিন্তু অভিযান-১০ লঞ্চের ক্ষেত্রে তা ঘটেনি।’
ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৩টার পর আগুনে পুড়ে যায় অভিযান-১০। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আহত হয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন বহু লোক।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে তাদের পুরো তদন্ত শেষ করতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।
আপনার মতামত জানান