জনগনের পাশে আছেন মাসুম চেয়ারম্যান

প্রকাশিত

দেশের এ ক্রান্তি লগ্নে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকাল থেকে রাত্র পর্যরন্ত জনগনের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছেন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সর্বাগ্রে তিনি পিরোজপুর ইউনিয়নে ২৫ সদস্যের একটি সেচ্ছাসেবী কমিটি গঠন করেছেন।

সেলিম রেজা, মোশারফ হোসেন, আলমগীর কবির, কবির হোসেন আঃ মান্নান ও মমতাজ মেম্বারসহ কমিটিতে ৯টি ইউনিয়নের ৯জন মেম্বার ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার, ইউনিয়ন কাউন্সিলের সচিব ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিভিন্নসুত্রে জানা গেছে, অন্যান্য ইউনিয়নে যখন কমিটি গঠিত হয়নি তার পূর্বেই মাসুম চেয়ারম্যান নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে হাতধোয়া কর্মসূচী, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা ক্যাম্পেইন, হাতধোঁয়া কর্মসূচী, মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াস, হ্যান্ড সেনিটাইজার, রুমাল, টিসু বালতি নিয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি বাড়ির দরজায় পৌছে দিচ্ছেন সেবা। এছাড়াও অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। এটুকুতে ক্ষান্ত হননি তিনি তার ইউনিয়নের প্রতিটিা বাজার মনিটরিং করছেন যাতে এ সুযোগে কোন অসাধু ব্যবসায়ী পন্যমূল্য বেশি রাখতে না পারে। যেখানেই পন্যমূল্য বেশী রাখছেন সাথে সাথে তার টিম নির্বাহী ম্যাজিশেষ্ট্রট নিয়ে হাজির। ভ্রাম্যমান াাদলত বসিয়ে জরিমানা করছেন। এতে পন্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে তিনি অগ্রনী ভুমিকা রাখছেন।

মাসুম চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্য ৭০ নং ঝাউচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবর্তমান সভাপতি হাজী আলম চাঁন ও সাবেক সভাপতি আবু হানিফ প্রতিবেদককে জানান, মাসুম চেয়ারম্যান নিজের জীবনের কথা না ভেবে সারাক্ষন জনগনের কথা ভেবে অকুতভয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগনের যানমালের নিরাপত্তাকে অগ্রাধীকার দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যদি মাসুম চেয়ারম্যানের মতো কাজ করতো তবে খুব সহজে জনগনের দূর্ভোগ লাগব হতো।

গঙ্গানগরের কয়েকজন বৃদ্ধা জানান, এমন চেয়ারম্যান পেয়ে আমরা গর্বিত। তিনি আমাদেরকে অসহায় হিসেবে দেখেন না, নিজের বাবা মায়ের মতো আদর করেন। আমরা তার দীঘায়ু ও মঙ্গল কামান করি।

এ ব্যাপারে ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম চেয়ারম্যান বলেন, দেশের এ দুঃসময়ে ঘরে বসে থাকার জন্য জনপ্রতিনিধি হইনি। জনগনের সেবা করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার ইউনিয়নের প্রতিটা মানুষ আমার পরিবারের সদস্য। আমি থাকতে আমার পরিবারের একজন সদস্য সমস্যা থাকবে তা আমি চেয়ারম্যান মানতে পারব না। আমি আগামী ভোটের জন্য তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখছি না। পিরোজপুর ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে পারলে আত্মা শান্তি পায়।যেদিন থেকে করোনার আগ্রাসনের খবর পেয়েছি সেদিন থেকে আমি ঘুমাতে পারি না। আমি আমৃত্যু জনগনের পাশে থাকতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ্ আমাকে সুস্থ্য রাখে।

আপনার মতামত জানান