চাঁদাবাজদের ধাওয়া

প্রকাশিত



ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর নান্দাইল উপজেলা পরিষদের প্রায় ৪ শ গজের মধ্যেই যানবাহন থেকে চাঁদা তুলছে ইজারা দেওয়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে একটি ড্রাম ট্রাক চাঁদাবাজদের টাকা না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করার সময় কিছুদূরে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত মার্কেটের দোকানে ঢুকে পড়ে। এ সময অল্পের জন্য অনেকেই বেঁচে গেলেও চাঁদা উত্তোলন করা দুজনসহ মোট পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। পরে খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ এসে ট্রাক উদ্ধার করে থানায় নেয়।

ঘটনাস্থলের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডটি পার হওয়ার সময় যানবাহন থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী এক তরুণ হাত তুলে কিশোরগঞ্জগামী ড্রাম ট্রাকটিকে থামতে নির্দেশ দেয়। এ সময় ট্রাকচালক চাঁদা না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান। ট্রাকটি তখন সড়কের দক্ষিণ কিনারে একটি প্রতিরোধক পিলার ভেঙে নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মার্কেটে ঢুকে পড়ে। এতে ওই মার্কেটের দুটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ সময় আহত হন চাঁদা উত্তোলনকারী লালন ও খোকন। এ ছাড়াও তিন পথচারী কামাল, গোলাপ ও হৃদয় আগত হন। তাঁদের উদ্ধার করে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, বিদ্যালয় খোলা থাকার সময় এ ঘটনা ঘটলে প্রচুর হতাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কেটের দুজন ব্যবসায়ী বলেন, সেতুর প্রবেশমুখে দুই পাশে ইজিবাইকে স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আবার মহাসড়কে চলাচলরত মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ নানা যানবাহন স্পিডব্রেকার অতিক্রমের সময় হাতের ইশারায় থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অনেক সময় চাঁদা না দিয়ে চালকরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে চান। তখন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, ‘চাঁদা আদায়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। ‘

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে কুপন দেখিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকবার অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তারপরও চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ‘

আপনার মতামত জানান