ঘোষণা দিয়ে কব্জি কর্তন, ইউপি মেম্বার আটক
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘোষণা দিয়ে হাসাদুল ইসলাম নামে এক যুবকের কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে লিটন মেম্বার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রবিবার বিকেল ৩টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে লিটন মেম্বারকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
হাসাদুল ইসলাম মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের শফিউল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লিটন মেম্বর মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং স্থানীয় যুবলীগ নেতা। লিটন মেম্বারের নামে সাম্প্রতিক সময়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএমকে লাঞ্ছিত করা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২৯ এপ্রিল গাংনীর হাড়াভাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬৩৯ বোতল ফেনসিডিল, ৪ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদককারবারীকে আটক করে গাংনী থানা পুলিশ। ওই মাদক মামলায় তদন্ত করার জন্য ২ মে পুলিশ ছাতিয়ানে আসে। সে সময় ছাতিয়ান মাঠের মধ্যে থেকে সাদের আলীর ছেলে সাত্তার (ফেনসিডিল মামলায় সদ্য জেল ফেরৎ) ও হাসাদুলকে আটক করে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সহিদুল ইসলামের সুপারিশে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ ঘটনার জেরে রবিবার দুপুরের দিকে হাসাদুল ইসলাম ও সাত্তার আলী লিটন মেম্বারের ছোট ভাই মিজানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। খবর পেয়ে লিটন মেম্বর এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে হাসাদুলের বাম হাতের কব্জিতে কোপ লাগে। তার হাতের কব্জি কেটে সামান্য আটকে আছে বলে জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক।
কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম জানান, হাসাদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করার অপরাধে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটনকে আটক করা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান জানান, ঘটনার রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া আহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত জানান