গাজী মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও খিচুরি বিতরণ

প্রকাশিত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

১৫ অাগস্ট সকালে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান, দীনেশ চন্দ্র সুত্রধর, আমির হোসেন, লায়ন আলী আকবর, জহিরুল ইসলাম রিপন, শাহীন আলম স্বাধীন, রেজওয়ানুল হক টিটুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতে এই ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময়ে গাজী মুজিবুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের এইদিন অতিপ্রত্যুষে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে সপরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই নৃশংস হামলার ঘটনায় আরো যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তারা হলেন : বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। আগস্ট মাসটি তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে শোকের মাসে পরিণত হয়েছে। ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেও সেদিন আল্লাহর অসীম কৃপায় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। সে সময় স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানিতে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাও ছিলেন বড় বোনের সঙ্গে। বাংলাদেশ ও বাঙালির সবচেয়ে হদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী শোকের দিন আজ। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট আসে বাঙালির হূদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। বাঙালি জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করছে।

পরে উপজেলা সংলগ্ন যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন গরীবদের মাঝে খিচুরি বিতরন করে কাঙ্গালিভোজের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রফিকুল ইসলাম নান্নু, মোস্তফা কামাল নিলু, সাইফুল ইসলাম বাবু, রফিকুল হায়দার বাবু, মজিদ তালুকদার প্রমূখ।

আপনার মতামত জানান