‘খেলা আর হলো না!’ শামীম ওসমানের ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

প্রকাশিত





সেই বহুল আলোচিত ‘খেলা হবে, খেলা হবে’—এই স্লোগান কে না জানে! নারায়ণগঞ্জের আলোচিত রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সাবেক দাপুটে এমপি ওসমান পরিবারের সদস্য শামীম ওসমানের স্লোগানটি বাংলাদেশ ছাড়িয়ে পাশের দেশ ভারতের কলকাতায়ও ঝড় তুলেছিল ওখানকার নির্বাচনে।

কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলে ‘খেলা হবে’র নায়ক সেই শামীম ওসমান ‘খেলার মাঠ’ ফেলে নিজেই এখন লাপাত্তা। নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় জনগণ বলছে, ‘খেলা আর হবে না! খেলোয়াড় নিজেই মাঠ ছেড়ে উধাও।’ তারা বলছে, ক্ষমতা, প্রভাব, পেশিশক্তি, সন্ত্রাস আর জোরজবরদস্তির ‘নায়ক’ হিসেবে শামীম ওসমানের দম্ভ এখন শেষ।


তাঁকে আর কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। বরং মাঠ ছেড়ে দিয়ে উল্টো লেজ গুটিয়ে নিজেদের সহায়-সম্পদ বিক্রি করে আছেন আত্মগোপনে।

নারায়ণগঞ্জের স্থানীয়দের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তারা বলে, শামীম ওসমান ছিলেন ‘অঘটনঘটনপটিয়সী।’ রাজনীতির মাঠে বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সিটির নির্বাচনে তিনি বা তাঁর প্রার্থীকে নিয়ে যতই হম্বিতম্বি করেছেন, জয়ী হওয়ার চেয়ে পরাজিতই হয়েছেন বেশি।


তবে ভোটারবিহীন এমপি নির্বাচনে অবশ্য জিতে বীরত্ব দেখিয়েছেন। রংবাজি, চাপাবাজি, নাটকবাজি বা ভেল্কিবাজিতে শামীম ওসমানের জুড়ি নেই বলাই বাহুল্য। স্ট্যান্টবাজিতেও তিনি সেরা। জনতার সামনে নানা অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে কখনো কখনো ভাঁড়ের ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নাগরিক বলেন, ‘তিনি তাঁর নেত্রীর দোহাই দিয়ে নারায়ণগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ হেন করেঙ্গে, তেন করেঙ্গে… বলতেন। বাস্তবে তেমন কিছুই তিনি করে দেখাননি বিগত ১৫ বছরে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একজন পরাজিত সৈনিক কখনো খেলতে পারেন না। এর আগেও তিনি বলেছিলেন খেলা হবে। কিন্তু তিনি পালিয়েছিলেন।

এবারও হাঁকডাক দিয়ে বলেছিলেন, খেলা হবে। কিন্তু তিনি এবার পুরো পরিবারসহ পালিয়ে গেলেন।’

পথচারী আবুল হাসান বলেন, ‘খেলা হুনছি (শুনেছি), আপনিও হুনছেন (শুনেছেন), আমি হুনছি। কিন্তু খেলা তো হলো না। তিনি তো পালিয়ে গেলেন। দেশবাসী সবাই দেখল। এখন কোথায় খেলছে কে জানে!’

আপনার মতামত জানান