খুনি মাজেদের লাশ সম্ভবত সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরায় দাফন করেছে

প্রকাশিত



জন্মস্থান ভোলায় নয়, শ্বশুরবাড়ি এলাকা নারায়ণগঞ্জে দাফন করা হয়েছে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আবদুল মাজেদের।

এর আগে, শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপর তার মরদেহ স্ত্রী সালেহা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত ছিল মরদেহ মাজেদের জন্মস্থান ভোলায় দাফন করা হবে। কিন্তু সেখানে দাফন নিয়ে স্থানীয়ভাবে আপত্তি তোলায় মরদেহ নারায়ণগঞ্জে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।

জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ৩টায় কারাগারের ভেতর থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকারে মাজেদের স্ত্রীসহ স্বজনরা মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে অনুসরণ করতে থাকে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে একজন মাছ ব্যবসায়ী জানান, মাছ কিনতে যাত্রাবাড়ি যাওয়ার জন্য বাস ষ্টেনে দাঁড়িয়ে ছিলাম এমন সময়, একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার ও কয়েকটি পুলিশের গাড়ি আনুমানিক ৩ টা ৪০ মিনিটের সময় পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দিয়ে ইউটান করে চৌৗরাস্তা দিয়ে রওয়ানা হয়। তবে এটাতে কার লাশ ছিল তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

তবে এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আজিজুল ইসলাম মুকুল তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, হায়রে সোনারগাঁ (সম্ভুপুরা)! বঙ্গবন্ধু’র খুনি মাজেদ কে কেন গ্রহণ করলি বুকে!! অপসারন চাই।



কারা সূত্রে জানা গেছে, ১২টা ১৮ মিনিটে কারা ফটকে আসেন মাজেদের স্ত্রী ও কয়েকজন আত্মীয়। পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে নামান। এরপর তারা হেঁটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে মরদেহ হস্তান্তরের জায়গায় দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী গেছেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

তবে এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা ও থানা প্রশাসন সুত্রে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান