খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে শতাধিক আহত

প্রকাশিত



খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। সংঘর্ষে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষের নেতারা জানান।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় অন্তত আটটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়; পৌর ভবনে ভাঙচুর করা হয়। শহরের শাপলা চত্বর থেকে ভাঙা ব্রিজ পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা দখলে রেখেছেন। তবে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই তাণ্ডবে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।


আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আফসার অভিযোগ করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির অফিসের সামনে পদযাত্রা কর্মসূচির প্রস্তুতির সময় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। তাতে আমাদের ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে সহায়তা চাইলে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আমি পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে একাধিকবার ফোন করেছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করে। পরে পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়।

সংঘর্ষের সময় মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়

দুই দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উভয় পক্ষের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা শহরে যান চলাচল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

এ ঘটনায় চেষ্টা করেও পুলিশের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে এলে সাংবাদিকেরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তবে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

আপনার মতামত জানান