কে হচ্ছেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক
বিশেষ প্রতিনিধি :
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সুত্র জানান, এ বছরই হচ্ছে সোনারগাঁ উপজেলার সম্মেলন। দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর আগে গঠিত কমিটির অধিকাংশ নেতাকর্মী গত হওয়ায় ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের আগ্রহের কমতি নেই। সভাপতির পদ মোটামোটি নিশ্চিত হলেও দোলাচলে সাধারন সম্পাদক পদটি। তাই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ ঘিরেই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভেতর থাকে মূল আগ্রহ।কে হচ্ছেন সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ও অার্থিক বিশ্লষণ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে চারজনের নাম শোনা যাচ্ছে। সোনারগাঁয়ের পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান আলোচনার শীর্ষে। আরো আছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু এবং কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর।
জানা গেছে, সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে ৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় যার সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই ভূঁইয়া। এর কিছুদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহফুজুর রহমান কালামকে। তিনি বার বার দলীয় নির্দেশ অমান্য করে মহাজোট ও নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে। ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় কমান্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্রোহীদের পক্ষে নির্বাচন করেছেন। তাই দলীয় হাইকমান্ড ও ত্যাগী নেতারা এ পদে চাচ্ছেন একজন বিশ্বস্ত কান্ডারী। তাই ত্যাগী ও বিশ্বস্ত্য আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে শত্রুমিত্র সবার পছন্দ গাজী মুজিবুর রহমান।
সোনারগাঁয়ে যেখানে আওয়ামী নামধারী নেতারা দামী গাড়ি হাকিয়ে চলে, সেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে গাজী মুজিবুর রহমানের একমাত্র বাহন বাস, রিক্সা। এ পদের জন্য কাঁচপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী নেতা মোশারফ ওমর এবং টাকার বিনিময়ে অযোগ্য ও অপরাধীদের নিকট যুবলীগের পদ বানিজ্যে অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদটি হাতিয়ে নিতে তিনি বিশাল বাজেট নিয়ে নীতি নির্ধারকদের দুয়ারে দুয়ারে কড়া নাড়ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
নেতাকর্মীরা জানান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। কারণ ২৩ বছর ধরে সম্মেলন হচ্ছে না। এই দীর্ঘদিনেও সম্মেলন না হওয়ায় কমিটিতে আসার সুযোগ পাচ্ছেন না সক্রিয় ত্যাগী নেতা ও তরুণরা। ৫১ সদস্যের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অধিকাংশ পদই চলছে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে। কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই ভূঁইয়াসহ প্রায় ১৫ জন মারা গেছেন। কয়েকজন নেতা ছাড়া অধিকাংশই এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। সম্মেলন না হওয়ায় অভিভাবকহীন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সম্মেলনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হবে এ প্রত্যাশা সকলের।
আপনার মতামত জানান