কানে এয়ারফোন লাগিয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবক নিহত

প্রকাশিত



চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ঘটনার সময় ট্রেনের সঙ্গে তার দেহ আটকে যায়। এতে ট্রেনটি অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূরে তাকে টেনে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রেল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম (২০)। তিনি সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ভুলাইপাড়ার মৃত শারাফাতুল্লাহর ছেলে এবং স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক। গতকাল বুধবার রাত ৯টায় উপজেলার সিরাজ ভূইয়া রাস্তার মাথা (রহমতনগর) এলাকা সংলগ্ন রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাতে কারখানা ছুটির পর ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন সাইফুল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ইঞ্জিনের হুকের সঙ্গে তার দেহ আটকে যায়। ঘটনাস্থল থেকে টেনে-হিঁচড়ে ১৫ কিলোমিটার দূরে কুমিরা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলে যায় তার দেহ। সেখানে ট্রেন থামার পর মরদেহটি জিআরপি পুলিশ উদ্ধার করে।

কুমিরা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আজিজুল হক বলেন, ‘যুবকটি কানে এয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনের সামনের অংশের ইঞ্জিনের হুকের সাথে আটকে যান। পরে কুমিরা পর্যন্ত হিঁচড়ে নিয়ে আসে তাকে। এখানে ট্রেনটি থামলে ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকের সাথে মরদেহটি ঝুলে থাকতে দেখে যাত্রীরা বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। পরে বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানালে তারা মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ‘

সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন সিরাজী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কানে এয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে সলিমপুর এলাকায় রেললাইনে বসে গিটার বাজানোর সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ওমর ফারুক নামের এক যুবক নিহত হন।

আপনার মতামত জানান