করোনা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভুমিকা

প্রকাশিত

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার নগর সম্পাদক এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সদস্য হুমায়ুন কবীর খোকন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তার সরকারের তেমন কোন উদ্যোগ নেই, নেই কোন প্রনোদনা। অথচ বিশ্ববিপর্যয়ের এই সময়ে গণমাধ্যমের প্রয়োজন অনেক বেড়ে গেছে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে কাজ করছেন গণমাধ্যমও। এই অবস্থায় গণমাধ্যমের কর্মীরা প্রথম সারির সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন। তাই তাদের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে গেছে। করোনা আক্রান্ত রোগী, করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকায় গিয়ে সংবাদকর্মীরা তথ্য তুলে আনছেন, ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন। তবু থেমে নেই তারা। সংবাদকর্মীর কলম থেমে গেলে থেমে যাবে পৃথিবীর তথ্য লেনদেন। গণমাধ্যমের গুরুত্ব সাধারণ মানুষ সহ সারা বিশ্ব উপলব্ধি করছে।

করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতে লকডাউন রয়েছে দেশবাসী। কিন্তু রাষ্ট্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, করোনার খবর, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ নানা বিষয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন কিংবা গুজব প্রতিরোধে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন সংবাদকর্মীরা। এতে সাংবাদিকরা নিজেরাই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতোমধ্যেই কয়েকজন গণমাধ্যামকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের কেউ হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং কেউ কোয়ারান্টিনে। করোনা ঝুঁকি বিবেচনায় সঠিক গাইডলাইন ও প্রস্তুতির অভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। আজ হুমায়ন কবির খোকনের মতো একজন চৌকস সায়বাদিক করোনা উপসর্গ নিয়ে বিদায় নিলেন পৃথিবী থেকে। আমরা জানিনা সরকার কিংবা সংশ্লিষ্টরা তার এ জীবনের কি মর্যাদদা দিবেন।

করোনা ভাইরাস এটাই প্রমাণ করলো যে, সবার জন্য উন্মুক্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটা দেখিয়ে দিয়েছে জিন ম্যাপিং, ভ্যাকসিন তৈরি আর বিজ্ঞানের গুরুত্ব কতটুকু। তবে, করোনা মহামারিতে এতসব কিছুর মধ্যে প্রমাণিত হলো সাংবাদিকতা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মিরর ইউকেতে প্রকাশিত এক কলামে দাবি করেছে ‘কোনও ওষুধ, তাদের সমস্ত প্রশিক্ষণ, করোনা ঝুঁকিতে থাকা সকল মানুষকে বাঁচাতে পারেনি। তবে এটা ঠিক, বিভিন্ন দেশের সরকার বাসায় থাকার যে বার্তা মিডিয়া প্রচার করেছে সেটা কাজ করেছে।’

আপনার মতামত জানান