এসআই সাধন বসাক সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের নির্দেশে সোনারগাঁ থানার সাবেক (সেকেন্ড অফিসার) এসআই সাধন বসাককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়। পুলিশ সুপার মামলা রুজু করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুবাস চন্দ্রকে বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করেছেন। নারায়নগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিভাগীয় মামলা নং-০৪/২০২০ রুজু করে ইতিমধ্যে মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য দিতে সমন পাঠিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

জানা গেছে, সোনারগাঁ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম পিপিএম ও সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের সিকিউরিটি সেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন সাবেক এমপির এপিএস ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন। পুলিশ হেডকোয়াটার্স স্বপনের অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে পিবিআই, নারায়নগঞ্জ ও পুলিশ হেডকোয়াটার্সের একজন উধ্বর্তন কর্মকর্তার সমন্বয়ে দীর্ঘ সময় তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্তকালীন সময়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদ্বয় মিথ্যা স্বাক্ষী, উপাত্ত দিয়ে তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন।

উল্লেখ্য যে, সোনারগাঁ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক অনৈতিক সুবিধা পেয়ে বিগত ৮ অক্টোবর গভীর রাতে পদ, পদবী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে দত্তপাড়ার বাগান বাড়ী থেকে কোন প্রকার গ্রেফতারী পরোয়ানা, অভিযোগ বা মামলা না থাকা সত্ত্বেও আটক করে যুবলীগ নেতা ও সাবেক এমপির এপিএস জাহিদুল ইসলাম স্বপন, তার বায়রা আনিছুর রহমান আলমগীর এবং ভাগীনা বাবুলকে। আটকের পর তাদেরকে থানায় নিয়ে অমানুষিক শারিরীক নির্যাতন চালায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা। শুধুমাত্র একটি পক্ষ থেকে বেআইনী সুবিধা পেয়ে এ জগন্য অন্যায় করেন সোনারগাঁ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও এস আই সাধন বসাক। পরে স্বপন পুলিশের অব্যহত নির্যাতনে মারাত্মক অসুস্থ্য ও জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। হাসপাতাল থেকে পুনরায় থানায় নিয়ে রশিতে ঝুলিয়ে মারাত্মক মারধর করে এবং ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পুরো ঘটনাটির অডিও রেকর্ডও প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি প্রমানিত হওয়ায় সাধন বসাককে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। অন্যদিকে, পুলিশের বিভাগীয় নিয়ম অনুযায়ী সোনারগাঁ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়াটার্সে বিভাগীয় মামলা রুজু হবে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ৯ অক্টোবর দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় ‘আট কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের পায়তারা’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি মোর্শেদ আলম ১১ অক্টোবর জামাত, বিএনপির নাশকতা মামলায় কালের কন্ঠের সোনারগাঁ প্রতিনিধি গাজী মোবারক সহ চারজন সাংবাদিকের নাম এজহার ভুক্ত করে। পরে চাপের মুখে চার্জশীট থেকে গাজী মোবারক সহ তিনজনের নাম প্রত্যাহার করে।

এ বিষয়ে মামলারবাদী জাহিদুল ইসলাম স্বপন বলেন, আমি কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার পেলাম। আশা করি, বিভাগীয় মামলায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা চূড়ান্তভাবে শাস্তি পাবে।

আপনার মতামত জানান