জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্বোধনী নামফলক ভাংচুড়, নিন্দার ঝড়

প্রকাশিত



জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নির্দেশে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে জাপা নেতারা আনন্দে মেতে উঠে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হলে নিন্দা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে সপারিবারে যারা হত্যা করেছিল সেই হত্যাকারিরদের জিয়াউর রহমান শাস্তির বদলে পুরস্কৃত করেছিল। ইনডেমিনিটি বিল পাশ করে জিয়া যেমন মোস্তাক গংদের পুরস্কৃত করেছিল সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা তেমনি আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতে যারা জালাও পোড়াও মামলার আসামী ছিল তাদেরকে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করিয়ে সোনারগাঁ থেকে আওয়ামী লীগকে উৎখাতের নীল নকশা বাস্তবায়নে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা জানান, জাপা এমপি সুকৌশলে আওয়ামী লগের স্থানীয় নেতাদের মাঝে দ্বন্ধ তৈরি করে রেখেছেন। এমপি ফাঁদে পা দিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনছে। ফলক ভাংগার প্রতিবাদে তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর দৃষ্টান্তমূরক শাসিত দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার পানাম নগরে অবস্থিত সোনারগাঁ জি.আর ইনষ্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান গেইট ও প্রতিষ্ঠানটির বাউন্ডারি ওয়াল জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শণে যান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গেইটের সামনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের উদ্বোধনী নামফলক দেখতে পেয়ে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা তার কর্মীদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি এমপি আমার নাম নেই! জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম এখানে কিভাবে দেওয়া হলো। তার নামফলক এখান থেকে এক ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য লিয়াকত হোসেন খোকা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়াকে নির্দেশ দেন। এমপির এ নির্দেশ পাওয়ার ২০ মিনিট পর ছাত্রলীগের নামধারী পানাম এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী নবনুর হোসেন সাবিক এর নেতৃত্বে ১০/১৫ জন জাতীয় পার্টির কর্মী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামফলকটি ভেঙ্গে ফেলার সময় এমপি খোকা প্রতিষ্ঠানের ভেতরের মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার পর জাতীয় পার্টির কর্মীরা আনন্দ উল্লাস করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বাইরে চলে আসে।

এ ব্যাপারে জি.আর ইনষ্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের উদ্বোধনী নামফলক এভাবে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।

এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, উদ্বোধনী নামফলকে আমার নাম থাকা উচিত ছিল। কারণ আমি এ এলাকার সংসদ সদস্য। আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

সুত্র: যুগের চিন্তা, দৈনিক সচেতন

আপনার মতামত জানান