এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হইছি
‘এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হইছি। ঘর থেকে একটা সুতো বের করতে পারিনি। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের দেওয়া পুরান কাপড় পরতেসি, যা দেয় তা খাচ্ছি। ছেলে-মেয়েদেরও খবর দিতে পারি নাই।’
এভাবেই দুর্ভোগের কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা বিধবা কাওকাবা খাতুন।
তিনি আরও বলেন, ফোন নাই তাই কাউকে জানাইতে পারি নাই । খাবারের কোনো জোগাড় নাই। এই স্কুলে জায়গা না পেলে কই থাকতাম আল্লাহ জানে। ঘরের লেপ তোষক সব ভিজে গেছে। একটা আলমারি আছে সেটাও পানিতে ডুবে গেছে ।
একই আশ্রয়কেন্দ্রের শাহ আলম নামে আরেক বৃদ্ধ বলেন, আমাদের ভয় হয় বন্যার পানি নেমে গেলে আমাদের কী অবস্থা হবে। আমরা তো শেষ হয়ে যাব তখন। এখনই বিশুদ্ধ পানির কল ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ঘরের সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।
পানা মিয়া হাজি বাড়ির বাসিন্দা ইমাম হোসেন মনু বলেন, আমরা বাড়ির মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি। এখানে প্রবাসী, ঢাকার ব্যবসায়ীসহ অনেকে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত আমাদের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬ ইঞ্চি পানি কমেছে। তবে জলাবদ্ধতা কমতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা ১৪০টি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। যেন বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ কমাতে কাজ করতে পারি। এছাড়াও হাসপাতালগুলোতে সেবা জোরদার করা হয়েছে।
আপনার মতামত জানান