উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
মোংলা সমুদ্রবন্দরের ২৮০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরের ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। অন্যদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ৪৭৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং কক্সবাজার থেকে ৪৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে।
একইসঙ্গে দেশের ৯ নদীবন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো- খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম নদীবন্দর।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেওয়া আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে (২৪ নম্বর) এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।
বিশেষ বুলেটিনে মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ এর আশপাশের দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।
বুলবুল এর সবশেষ অবস্থা লাইভ দেখতে ক্লিক করুন…
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর এবং উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুরসহ এর আশপাশের দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোতে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এটি অতিক্রমকালে ভারী বর্ষণ হতে পারে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ এর আশপাশের দ্বীপ ও চরাঞ্চলগুলোতে। সেসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে।
একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত জানান