ইভিএম বিড়ম্বনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন। পরে তিনি ভোট দিতে সক্ষম হন।
আজ শনিবার সকাল ১১টা ৫মিনিটে রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আই ই এস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের কলেজ ভবনের ৮ নম্বর কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট প্রয়োগ করেন তিনি। এরপর গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পবিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেউ বললেই এজেন্ট বেরিয়ে যাবেন কেন? এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করতে হবে।
কয়েকটি নির্বাচনী কেন্দ্রে সংঘর্ষ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সংঘর্ষের কোনো খবর আমার কাছে নেই। আপনাদের কাছে শুনলাম। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভোট গ্রহণের পরিবেশ কেমন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সন্তুষ্ট বলে জানান।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়টি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে স্বীকার করে সিইসি বলেন, ভোটাররা এখনো আসেননি, তবে পরে আসবেন।
এর আগে আজ শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো বিভক্ত ঢাকার দুই সিটিতে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৯ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি থাকলেও ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় তা পরিবর্তন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি প্রচার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলো। মোট ২১ দিন প্রচারের সুযোগ পান প্রার্থীরা।
আপনার মতামত জানান