আসপিয়ার পাশে দাঁড়ালেন বরিশাল জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত

ভূমিহীন হওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি না পাওয়া সেই আসপিয়া ইসলামের পাশে দাড়াচ্ছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। আসপিয়াকে জমিসহ একটি ঘর বন্দোবস্ত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এতথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার নিজেই।

জমিসহ ঘর বন্দোবস্ত পেলে তার পুলিশে চাকরি পেতে আর কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।

উল্লেখ্য, আসপিয়া পুলিশে চাকরি পাচ্ছে এই খবরে পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের মনে বইতে শুরু করে খুশির জোয়ার। আসপিয়া চাকরিতে যোগ দেবেন শিগগিরই। এরপর অভাব ঘুচে সচ্ছলতার মুখ দেখবে পরিবার। কিন্তু হঠাৎ জানা যায়, চাকরিটা হচ্ছে না।

এই খবর পেয়ে আসপিয়া দ্রুত ছুটে যান ডিআইজি এসএম আকতারুজ্জামানের কার্যালয়ে। জানতে চান, সব ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কেন তার চাকরি হবে না। ডিআইজি জানান, নিজেদের জমি না থাকলে চাকরি দেওয়ার আইন নেই। এরপর ভাঙা মন নিয়ে পুলিশ লাইন্সের সামনে বসে থাকেন আসপিয়া।

বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়।

আসপিয়া জানান, বরিশাল জেলায় পুলিশ কনস্টেবলের শূন্য পদে লোক নিতে সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। অনলাইনে আবেদন করলে গত ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর জেলা পুলিশ লাইনে শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও উত্তীর্ণ হন। এরপর ২৪ নভেম্বর একই স্থানে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হন আসপিয়া।

২৬ নভেম্বর জেলা পুলিশ লাইনে চিকিৎসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। এতেও উত্তীর্ণ আসপিয়া। সবশেষ ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেখানেও উতরে যান আসপিয়া।

চূড়ান্ত নিয়োগের আগে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আসপিয়া ও তার পরিবারকে ‘ভূমিহীন’ উল্লেখ করা হয়। বুধবার জেলা পুলিশ সুপার বরাবর প্রতিবেদন জমা দেন হিজলা থানার উপপরিদর্শক মো. আব্বাস। এর আগে ভূমিহীন হওয়ায় (স্থায়ী ঠিকানা না থাকায়) আসপিয়ার চাকরি হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

আপনার মতামত জানান