আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আগুন দিল হেফাজত!

প্রকাশিত



হেফাজতের হরতালকে কেন্দ্র কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিশোরগঞ্জে। আজ রবিবার সকালের দিকে পুলিশ বেষ্টনির মধ্যেই হেফাজতের নেতাকর্মীরা শহরের পুরান থানা এলাকায় হরাতলের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং করে। পরে ধীরে ধীরে তাদের অবস্থান গৌরাঙ্গবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত করে। তখন মোটামুটি পরিস্থিতি শান্ত ছিল। তবে দুপুরের দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

শহীদী মসজিদের সমানে থেকে হেফাজতকর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণের সময় হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় তারা কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতার প্রতিকৃতি ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। অফিসের চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তখন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে সন্ধ্যার পর স্টেশনরোডে অবস্থিত সদর উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ও রথখলা এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা কার্যালয় দুটির আবসাবপত্র রাস্তায় ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়।

জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম বলেন, হরতালের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে বিএনপি অফিস কেন ভাঙচুর করা হবে। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।

আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার পর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হরতালবিরোধী মিছিল করে। এ সময় শহরের গৌরাঙ্গবাজার, রথখলা মোড়, পুরানথানা, তেরিপট্টি এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আশফুল ইসলাম টিটু বলেন, হেফাজতের তাণ্ডবের পর দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হরতালবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করে তাদের প্রতিহত করে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হেফাজতের নাশকতার সঙ্গে বিএনপির লোকজন জড়িত ছিল। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ হামলার শিকার আওয়ামী লীগ কার্যালয় পরিদর্শন করে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বলেন, হরতালের নামে যারা নৈরাজ্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান