অসহায় মানুষের পাশে ওসমান পরিবার
তৃণমূল কর্মী ষাটোর্ধ রহিমুদ্দিন আওয়ামী লীগ করেই সারাজীবন কাটিয়ে দিলেন। এখন নানা রোগে জর্জরিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের কথা শুনলেই নিজেকে আর ঘরে আটকে রাখতে পারেন না। তেমনি হাবিবুল্লাহ হাবু (৬২)। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর এ কে এম সামছুজ্জোহার হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। কালক্রমে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়লেও রাজনীতির নেশাটা ছাড়তে পারেননি। নারায়গঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ধর্মগঞ্জে বসবাসকারী এ দু’জন মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিনযাপন করছিলেন ঠিক সেই সময় নীরবে তাদের পাশে দাঁড়ান ওসমান পরিবারের প্রভাবশালী সদস্য শামীম ওসমান এমপি। খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা পৌঁছে দেন চুপিসারে।
এ ঘটনা শুধু রহিমুদ্দিন কিংবা হাবুদের বেলায়ই নয়। নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) ও ৫ (শহর-বন্দর) আসনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নেতাকর্মী ও দুস্থ মানুষের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। ঘাতক ব্যাধি করোনার আঘাতে মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়েছে ঠিক তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সেই ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবার।
হাবিবুল্লাহ ও রহিমুদ্দির সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, করোনার একটা দিন কোন কাজ কর্ম না থাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে ছিলেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে এমপি (শামীম ওসমান) সাহেব একদিন রাতে চুপিসারে বেশ কিছু টাকা ও খাদ্যসামগ্রী আমাদের ঘরে পৌঁছে দেন। তারা বলেন, আসলেই শামীম ভাই একজন কর্মীবান্ধব নেতা। শুধু এ করোনা বলেই নয়। এর আগেও ঈদ তেহারে আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।
করোনায় কি করণীয় সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে ফের দেশের ক্রান্তিলগ্নে জেলার সাধারণ মানুষের আস্থা, বিশ্বাস জয় করে ভালোবাসার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে জেলার এ ঐতিহ্যবাহী পরিবার। দল মত নির্বিশেষে মানুষের আস্থা অর্জন করে অতীতের মতো এ করেনা ক্রান্তিকালেও ত্রাণ সহায়তা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে কোথাও বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি তারা। ওসমান পরিবারের সদস্যরা খাদ্য, স্বাস্থ্য এমনকি করোনা রোগীসহ নানা ব্যাধিতে মৃত মানুষের মরদেহ দাফন, কাফন, জানাজা ও সৎকার নিশ্চিত করতে পৃথক পৃথক দল নামিয়ে দিয়েছেন মাঠে।
করোনার প্রথম থেকেই ওসমান পরিবারের ঘোষণা ছিল, একটি মানুষও যেন উপোস না থাকে। চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ যেন পথে ঘাটে না মরে। কেউ যদি মারা যায়, তার মরদেহ যেন পড়ে না থাকে। এ রকম অর্ধশত উদ্যোগ নিয়ে এখন অবধি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে ওসমান পরিবারের হাজারো কর্মী। আর এসব সেবায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই বার্তা, তা হলো- সেবা পৌঁছাতে কে আওয়ামীলীগ কে বিএনপি করে তা প্রাধান্য নয়, মমতাময়ী নেত্রীর মানবতার ভালোবাসার মমতা সহকারে পৌঁছে দিতে হবে বাংলার প্রতিটি ঘরে। বর্তমানে এসব সেবা পৌঁছাতে গঠন করা হয়েছে মোবাইল বিকাশ টিম, মোটর সাইকেল ইমার্জেন্সি টিম, অটো রিকশা ও ভ্যান টিম, ২৪ ঘণ্টা মৃত কবরস্থ ও সৎকার টিম।
জানা গেছে, গত মার্চে সরকার গণপরিবহন বন্ধ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় নারায়ণগঞ্জের প্রায় ৫শতাধিক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ কলকারখানা। আনুষ্ঠানিক লক ডাউনের আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জে কঠোর অবস্থান নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, জেলা প্রশাসন ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে কমপক্ষে ১২ লাখ শ্রমিকসহ সাধারণ দিন মজুর। এ সময় সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজটি শুরু হয় সবার আগে। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা শুরু করেন জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন। এগিয়ে আসেন ওসমান পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পুত্র ইমতিনান ওসমান অয়ন। তিনি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ১০ হাজার স্যানিটাইজার, ১০ হাজার মাস্ক দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে ছাত্রলীগের বিশাল নেতাকর্মীর বাহিনী। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডসহ ফতুল্লা এলাকায় অয়ন ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে জীবাণুনাশক ছিটানো হয় অলি গলিসহ বিভিন্ন সড়কে। সেই সঙ্গে ৫ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদিকে সাধারণ ছুটি বাড়ানোর পর কর্মহীনদের খাদ্যের অভাব অতিমাত্রায় শুরু হলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কর্মহীন ও বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে এগিয়ে আসেন জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও এমপি শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি। গত এক মাসে ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও শহর এলাকায় রাতের আঁধারে সালমা ওসমান লিপির ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় ৬ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠানো হয়।
অপরদিকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের নির্বাচনী এলাকায় ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করেন শামীম ওসমান। এর মধ্যে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে রাতের আঁধারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন তার নেতাকর্মীরা। এছাড়াও তিনি দুস্থ কর্মী, বিভিন্ন সংগঠন, নানা শ্রেণী পেশার ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে নগদ ৪০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তাও দেন। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পাশাপাশি গণমাধ্যম, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য সহায়তায় নিযুক্তদের মধ্যে ৫০০ পিস ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা হয় শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ নগরীর কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ১ হাজার হকার পরিবার ও পরিবহন সেক্টরের প্রায় ২ হাজার পরিবারকেও খাদ্যসামগ্রী দেন শামীম ওসমান। এর পাশাপাশি শামীম ওসমানের আহ্বানে তার সমর্থক দলীয় নেতারা ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় মোট ৩৮ হাজার ৫শ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেন।
এদিকে ওসমান পরিবারের আরেক সন্তান বিকেএমইএর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জে ২০ হাজার ৬শ’ দুস্থ পরিবারকে রমজানে খাদ্যসামগ্রী কিনতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছেন। এ টাকা দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, রকেট বা নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জিজিটাল পদ্ধতিতে।
সেলিম ওসমান জানান, সিটি করপোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ডের সব কাউন্সিলর এবং বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারদের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ এলাকার সুবিধা বঞ্চিত দুস্থ মানুষদের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ও বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া রমজান মাসে যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে অপ্রতিকর কোন ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে পারে এমন শিক্ষিত বেকার যুবকদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ২০ জন করে মোট ৪৮০ জন যুবককে রমজান মাসের জন্য ৪ হাজার ৫শ টাকা করে সম্মানি দেওয়া হবে।
পাশপাশি করোনায় মৃত্যু ব্যক্তিদের মরদেহ দাফন ও দাহ করতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর খোরশেদকে ১০ লাখ টাকা এবং খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা জানান সেলিম ওসমান। এছাড়াও ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক যারা ত্রাণ ও সেবায় নিয়োজিত তাদেরও নয় লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের আনা নেওয়ার কাজে ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলদের মাধ্যমে এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত প্রায় ১৩ হাজার মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০ কেজি করে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রথম থেকে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন ওসমান পরিাবরের দুই এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান। জেলাকে লকডাউন করতে অনুরোধ করাসহ পরপর দুইবার টেলিভিশনের লাইভে এসে হাতজোড় করে জেলাবাসীর জন্য করোনা ল্যাব স্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান শামীম ওসমান। জেলার প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতে নারায়ণগঞ্জের আর ক্লিনিক চালাতে পারবে না। শামীম ওসমানের আহ্বানে চারটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নমুনা সংগ্রহের জনবল দেওয়া হয় এবং তাদের সহায়তায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে নমুনা সংগ্রহকারীদের জন্য ২টি সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স দেন শামীম ওসমান। তার প্রচেষ্টায় ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানকে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা সংগ্রহের জন্য নির্দেশ দেয় সরকার। করোনা হাসপাতাল স্থাপনের জন্য রেডি করেন নব নির্মিত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন। শামীম ওসমানের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দুই এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান করোনা চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীদের থাকার জন্য শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, ডাক বাংলো ও একটি স্কুলে সার্বিক ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
শুধু ওসমান পরিবারের জনপ্রতিনিধি এমপিরাই নয়, শামীম ওসমান পত্নী লিপি ওসমানকে অনুরোধ জানায় ‘এহসান পরিবার’ নামে একটি সদ্য গঠিত সংগঠন যে তারা করোনায় মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ বিনা টাকায় দাফন কাফন জানাজা করবে। লিপি ওসমানের বিশেষ সহায়তায় প্রথম প্রাপ্তি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা পিপিই পেয়ে এহসান পরিবারের সদস্যরা করোনা রোগী, উপসর্গের রোগীসহ নানা ব্যাধিতে মৃত প্রায় ২২ জনের মরদেহ দাফন করে। এর মধ্যে একজন হিন্দুর সৎকারও করেন তারা। লিপি ওসমান নিজে মোটর সাইকেল টিম করে ম্যাসেজ পেয়ে হাজারো মানুষের বাড়িতে রাতের আঁধারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে চলছেন।
এদিকে ওসমান পরিবারের এই জন সম্পৃক্ততা বেশ সাড়া ফেলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সবার মুখে মুখে ওসমান পরিবারের নাম। দলমত নির্বিশেষে করোনায় ওসমান পরিবার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা স্বীকার করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনা বীর উপাধি পাওয়া সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, করোনা ইস্যুতে স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানসহ তাদের পরিবার যে ভূমিকা রাখছে তা প্রশংসনীয় ও দৃষ্টান্তমূলক। সবাই ব্যক্তিগত পর্যায়ে উনাদের মতো এগিয়ে এলে করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া কষ্টসাধ্য হবে না।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া বলেন, ঐহিত্যবাহী ওসমান পরিবার বারবারই প্রমান করেছে তারা সাধারণ মানুষের পাশে ছিল এবং আছে। তারা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলেই জনগণ তাদের ডাকে সবসময়ই সাড়া দেন।
জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবাশীষ সাহা জানান, চিকিৎসকসহ করোনা স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতরা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তাতে আমরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছি। তারপরও আমরা কাজ করছি। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করার পেছনে এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান যে অবদান রয়েছে তা নারায়ণঞ্জ জেলার চিকিৎসক সমাজ কখনও ভুলবে না।
নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ ড. প্রফেসর শিরিন বেগম জানান, ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবার সর্বদাই সাধারণের পাশে ছিল বলেই তারা তিন পুরুষ ধরে রাজনীতিতে ও জাতীয় সংসদে অবস্থান ধরে রেখেছেন। করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরো ওসমান পরিবার যে অবদান রেখেছেন এবং রাখছেন তা পুরো দেশের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।
মরদেহ দাফন ও জানাজা করা এহসান পরিবারের অন্যমত সদস্য ফতুল্লার মাসদাইর শেরে বাংলা সড়কের ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহিদ জানান, আমরা এ পর্যন্ত ২২টি করোনাসহ নানা ব্যাধিতে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ গোসল, জানাজা ও দাফন করেছি। এর মধ্যে একজন হিন্দুও ছিল। আমাদের প্রথমেই স্বাস্থ্য নিরাপত্তার যে পিপিই তা লিপি ওসমান ও শামীম ওসমান দিয়েছিলেন। তখন পিপির খুব সংকট ছিল। এছাড়া লিপি ওসমান এহসান পরিবারকে নানাভাবে সহতায়তা করে আসছেন। তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা রয়েছে। তিনি আামাদের কাছে একজন অন্যতম সহায়তাকারী ও শরীক বলতে পারি।
এ বিষয়ে এমপি শামীম ওসমান বলেন, যারা আমাদের উপহার গ্রহণ করেছেন তারা আমাদের উপর দয়া দেখিয়েছেন, ভালোবাসা দেখিয়েছেন বলেই মনে করি আমি। কারণ রিযিকের মালিক আল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে শিখেছি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা পরিবারের কাছ থেকেই পেয়েছি। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ছাড়া চাওয়া পাওয়ারও কিছু নেই আমাদের। সেটুকুই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমাদের পরিবারের জন্য।
সুত্র: বাংলা নিউজ
আপনার মতামত জানান