অনিয়মের হোতা প্রধান শিক্ষক কামাল

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এন এ এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অর্থ কেলেঙ্কারী ও নানা অনিয়মের কারণে ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন নিজের চাকুরী বাচাঁতে চাপের মুখে ওই স্কুল ছেড়ে বর্তমান স্কুলে যোগদান করেন। এলাকায় প্রচারিত আছে যে, প্রভাবশালীদের তদবিরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ কমিটিকে ম্যানেজ করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে নিজেকে রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দিয়ে শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের ও ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকদের তোয়াক্কা না করে প্রাচীন বিদ্যাপিঠে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন।

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ বিএড সনদে টাকার বিনিময়ে ২০১৯ সালে মে মাসে পূর্বের ইনডেক্স নং ৪৮৯৩০৯ এ এমপিও ভুক্ত হোন। শিক্ষা আইন পরিপন্থি ইনডেক্স দারীরা ২ বছর মেয়াদের মধ্যে এমপিও ভুক্ত হতে না পারলে তার ইনডেক্স নাম্বার অকার্যকর হয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, করোনা মহামারি কালে বিদ্যালয়ের ফান্ডে টাকা থাকা সত্তে¡ও নানা তালবাহানা করে গত মার্চ মাস থেকে ৫ মাস যাবৎ আমাদের বিদ্যালয়ের বেতন বন্ধ করে দেন। প্রধান শিক্ষকের নিয়োগের পর থেকে কোচিং করার টাকা, পরিক্ষার খাতা দেখার টাকা, পরিক্ষার হলের ডিউটির টাকা সহ কোনো টাকাই আমরা ঠিকমত পাই না।

তারা আরো জানান , নিয়ম বর্হিভুতভাবে প্রধান শিক্ষকের চাটুকার ভোকেশনালের অযোগ্য শিক্ষক দিয়ে জেনারেল শাখার গনিত ও ইংরেজী ক্লাস করান।

বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও পৌর যুবলীগের ক্রিড়া সম্পাদক রেজওয়ানুল হক টিটু জানান, আমার খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি এলাকার প্রাচীন বিদ্যালয়টি বর্তমান প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন তার নিজের এলাকার রাজনৈতিক অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। সকাল হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম রেখে নিজের এলাকার রাজনৈতিক কর্মীদের সমস্যার সমাধান করেন বিদ্যালয়ের অফিসে বসে।

প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত নই। দারুল ইহসানের বিএড সনদ নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বে আমি বিএড পাস করি। নানা প্রশ্ন করলে অফিসে চায়ের দাওয়াত দিয়ে ফোন রেখে দেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আকতারুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আপনার মতামত জানান