নুরের বাসায় ডিবি, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আটক

প্রকাশিত


মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বাসায়। সে সময় দরজা ভেঙে তারা রুমে প্রবেশ করে। ওই বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে। তাকে আজ সকালে কোর্টে চালান করা হবে বলে জানান গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ ৷


আবু হানিফ বলেন, ‘যাঁরা অভিযানে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন মদ্যপ অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাঁরা নুরুল হক নুরকে উদ্দেশ্য করে বারবার বলছিলেন, এই বাসায় নাকি জঙ্গি রয়েছে। তখন নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমার বাসায় জঙ্গি আসবে কোথায় থেকে। আপনারা নাটক সাজাতে আসছেন। এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যায়। এখন শুনতেছি মোল্লাকে কোর্টে চালান করা হবে। ডিবি অভিযান শেষে ফেরার সময় নুরের বাসার সিসি ক্যামেরা ও হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।’


গতকাল নূরের বাসায় অভিযান এবং বিন ইয়ামিন মোল্লাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি রাজীব আল মাসুদ। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা গিয়েছিলাম। একজন আটক আছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

গতকাল এর আগে রাত ১০টার দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানকে রায়েরবাগ থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যান। অন্যদিকে রাত ৮টায় মোহাম্মাদপুর থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার বাবাকেও তুলে নিয়ে যান সাদা পোশাকের কয়েক ব্যক্তি। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ছয় ঘণ্টা ও বিন ইয়ামিন মোল্লার বাবাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আট ঘণ্টা পর ভোর ৪টায় ছেড়ে দেন।

আবু হানিফ বলেন, ‘কোনো ধরনের ওয়ারেন্ট ছাড়া মধ্যরাতে এ ধরনের অভিযান আইনের পরিপন্থী। বরং এমন অভিযানের মাধ্যমে ডিবি নিজ থেকে কোনো মাদক নিয়ে এসে এসব অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে যে কাউকে ফাঁসাতে পারে। আমরা মনে করি চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে গণ অধিকার পরিষদকে দূরে রাখতেই মূলত সরকার নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমাদের কথা পরিষ্কার, এই অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত গণ অধিকার পরিষদ রাজপথে থাকবে। এতে যদি আমাদের জীবনও দিতে হয়, তবু পিছপা হব না আমরা।’

তবে বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কোন মামলায় আটক দেখানো হয়েছে তা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়নি।

আপনার মতামত জানান