মান্নানের নৈতিক শিক্ষার কাছে ধরাশায়ী তথাকথিত শিক্ষিতরা

প্রকাশিত

প্রখ্যাত ব্রিটিশ কবি ও উপন্যাসিক স্যার উইলিয়াম গোল্ডিং বলেছেন “মানুষের আদিমতা ও হিংস্রতা সহজাত, সেরকম বুনো পরিবেশে পেলে মানুষ তার সভ্যতার লেবাস খুলে হিংস্র হয়ে উঠে’। আমাদের সমাজের মানুষের নৈতিক শিক্ষার অভাবে নৈতিক মূল্যবোধের ব্যপক অবক্ষয় শুরু হয়েছে। ভাল মানুষ ও তার ভাল কাজকে খাটো করে দেখাতে নিজেরা সমাজের আস্তাকুড়ে নামতে দ্বিধাবোধ করে না। কিভাবে অন্যকে খাটো করে কে কত বড় হতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে।

সোনারগাঁয়ের তথাকথিত শিক্ষিত বিএনপি নেতারা এ নোংরামিতে নিজেদের ভাসিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ করছেন না। আর দৌড়ে এগিয়ে আছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়ে নানা সময় কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য করে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ছেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন । অথচ এ মান্নান আজ নৈতিক শিক্ষায় তাদের মতো তথাকথিত শিক্ষিতদের পেছনে ফেলে হাজার হাজার তৃণমূল নেতাকর্মীদের আলোকবর্তিকা হয়ে আশার আলো ছড়াচ্ছেন। দল নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষিতদের নয় মান্নানের মতো মনুষ্যবিকশিত নেতাকে মূল্যায়ন করছে। যে দলের দূঃসময়ে জীবনবাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন করে বারবার কারানির্যাতিত হয়েও পিছপা হননি। দলের সাধারন কর্মীদের জেল , জুলুমের সামনে ঢাল হয়ে তাদের আগলে রাখছেন। যারা মান্নানের সমালোচনা করছেন তারাই একদিন মান্নানের জনপ্রিয়তা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের বশ্যতা স্বীকার করেছেন। এই অশিক্ষিত মান্নানই বিএনপির দুঃসময়ে সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন অধ্যাপক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে ধরাশায়ী করে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মান্নান। মান্নানকে উপহাস করা জাফর হয়েছিলেন তার ডামি প্রার্থী।

আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সোনারগাঁয়ের হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খন্দকার আবু জাফরের এমন মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করছেন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের দাবি- যখন নেতাকর্মীরা মামলায় হামলায় নির্যাতিত হয় তখন কোন শিক্ষিত নেতাদের দেখা যায়না। নেতাকর্মীরা মরে গেলেও মান্নান ছাড়া কর্মীদের পাশে দাড়ানোর মত কোন নেতা চোখে দেখা যায়না।

নেতাকর্মীরা বলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান জানেন, বই পড়ে শিক্ষিত অমানুষ না হয়ে নৈতিক শিক্ষার মধ্যে দিয়ে সমাজ জীবনের ন্যায়-নীতি, মানবিক মূল্যবোধ ও মহৎ আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। মানবজীবনের মূল লক্ষ্য হলো প্রকৃত শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা তথা মনুষ্যত্ব অর্জন। আর এর মাধ্যমেই সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র ও জাতি বিবেদ অন্যায়-অনিয়ম ও অবিচার ভুলে দেশাত্মবোধের মহাসমাবেশ ঘটাতে হবে।
এ ব্যাপারে মান্নান বলেন, আমি মুর্খ থেকে যেন সোনারগাঁয়ের মা-বোন সহ সকল শ্রেণির মানুষের সুখে-দুখে পাশে থাকতে পারি, সবাই দোয়া করবেন।

উল্লেখ্য যে, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বের কাছে আগেই ধরাশায়ি হয়েছেন অধ্যাপক রেজাউল এবার অধ্যাপক মামুন মাহামুদ।সে ক্ষেত্রে জাফর তো কিছুই না। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন, প্রকৃত শিক্ষিত কে? আবার তাদেরই উত্তর মান্নান। যেহেতু এমপি নির্বাচনে দুজন অধ্যাপক ও উপজেলা নির্বাচনে খন্দকার আবু জাফররা ফেল করেছেন। পাশ করেছেন কর্মীবান্ধব আজহারুল ইসলাম মান্নান।

আপনার মতামত জানান