সোনারগাঁয়ে শুরু হচ্ছে জামদানি মেলা
ডেইলি সোনারগাঁ >>
জামদানি শিল্পী ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি এবং তাতের তৈরি প্রকৃত জামদানী শাড়ি কেনায় ক্রেতাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জামদানী শহর সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনী চত্বরে শুরু হচ্ছে তিন দিন ব্যাপী জামদানি মেলা। আগামী ২০-২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ জামদানি মেলা।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সুত্রে যানা যায়, জামদানি শিল্পীদের হাতের নিপুন ছোঁয়ার শৈল্পিক কারু কাজের প্রদর্শনী থাকবে মেলায়। তাই প্রকৃত শিল্পী ছাড়া কাউকে স্টল বরাদ্ধ দেয়া হবে না। আধুনিকতা ও নকলের ভিরে জামদানির রুচিশীল গ্রাহকদের জন্য এবং শিল্পীদেও উপযুক্ত পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতেই এ মেলার আয়োজন। এ মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হলে জামদানি শিল্পকে প্রসারিত করার জন্য মেলা কর্তৃপক্ষ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে জানান উপ পরিচালক রবিউল ইসলাম।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ জানান, সোনারগাঁর কারু ও জামদানিশিল্পীদের মুনশিয়ানায় অভিভূত হয়ে ‘বিশ্ব কারুশিল্প শহর’ ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডাব্লিউসিসি)। তাই সোনারগাঁয়ের জামদানির রুচিশীল সৌখিন ক্রেতা ও এ শিল্পের কারিগরদের মাঝে সেতু বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যেই জামদানি মেলার এ আয়োজন। এ মেলায় একজন ক্রেতা তাতের তৈরি নির্ভেজাল নিখুত ও সঠিক মানের জামদানি ক্রয় করতে পারবেন। আর একজন জামদানি শিল্পী তার স্বপ্নের রঙীন সুতোয় বুনন করা পণ্যটি ন্যায্য দামে সরাসরি ক্রেতার হাতে তুলে দিতে পারবেন। এখানে কোন মধ্যসত্ত্বভোগী থাকবে না।
তিনি আরো জানান, জামদানি বলতে আমরা শুধু শাড়িকেই বুঝি। ১৭০০ শতাব্দীতে জামদানি দিয়ে তৈরি করা নকশাওয়ালা শেরওয়ানির প্রচলন ছিল। তাই জামদানি শিল্পকে প্রসার এবং শিল্পীদের স্বাবলম্বী রাখার লক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ওড়না, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল, পর্দা, শার্ট, পাঞ্জাবি, শোপিস, ওয়ালম্যাট ইত্যাদি তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
আপনার মতামত জানান