কোটা আন্দোলনে রাজপথে কালামের নেতৃত্বে তার অনুগামীদের ভূমিকা প্রশংসিত
গত ১৮ জুলাই থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে বিএনপি জামাত ও এর সমমনা দলগুলো নাশকতা চালায়। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালাম পন্থী নেতাকর্মীরা নাশকতা রোধে ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সতর্কাবস্থানে থেকে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
এ সময় সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে একটি প্রতিবাদ সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার একাধিক সুত্র জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনে কালামের নেতৃত্বে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের সতর্ক অবস্থান নাশকতা ঠেকাতে প্রধান ভূমিকা রাখে। যদিও ১৮ জুলাই কাঁচপুরে বড় অঘটন ঘটাতে চাইলেও কালামপন্থী নেতাকর্মী ও প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
কোটা আন্দোলনের শুরু থেকে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতা আড়ালে আবডালে থাকলেও কালাম তার অনুগামী নেতাদের নিয়ে সরব ছিলেন। সার্বক্ষনিক তিনি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং কখন কোথায় কোনো সহযোগীতার দরকার হলে তিনি করেছেন এবং প্রস্তুতির বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন।
এদিকে উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকা। উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র প্রার্থী গাজী মজিবুর রহমান নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুত থাকেন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায়। একই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি নিয়মিত নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা ও প্রস্তুতি সভা করের। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁ থানা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা টহল অব্যাহত রাখেন। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুত জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখেছেন।
এছাড়াও উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দড়িকান্দি স্টান্ড এলাকায় সার্বক্ষনিক মনিটর করেছেন কালাম অনুগামী সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুউদ্দীন সাবু। তিনিও গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকায় যাতে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা কিংবা নাশকতা করতে না পারে সেজন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে মহাসড়কের কাছাকাছি অবস্থান নেন।
এদিকে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ঢাকা বাইপাস মহাসড়কের কাছাকাছি অবস্থান নেন জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হামিম সিকদার শিপলু। পুরো জামপুর উপজেলায় তিনি মনিটর করেন যাতে করে কেউ এখানে বিশৃঙ্খলা কিংবা নাশকতার সৃষ্টি করতে না পারেন।
কাঁচপুর ইউনিয়নের কাঁচপুর এলাকায় কালাম অনুগামী খান পরিবারের সদস্যরাও সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নেন এবং প্রশাসন ও পুলিশকে সহযোগীতা করেন বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা ঠেকাতে।
অন্যদিকে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকায়, পিরোজপুর মেঘনা এলাকার মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কালামের নির্দেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। তিনি মহাসড়কের দুই পাশে সার্বক্ষনিক মনিটর করেন।
উপজেলার বারদী ইউনিয়ন এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সরব ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য মাহফুজর রহমান কালাম এর বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও তার অনুগামী নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন, রেখেছেন নাশকতামুক্ত ।
আপনার মতামত জানান