রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম, মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন

প্রকাশিত


সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের রতনমার্কেট থেকে আমগাঁও এলাকার প্রায় দেড় কিঃমি রাস্তা সংস্কার কাজের ধীরগতি ও অনিয়মের অভিযোগে কয়েক গ্রামের শতাধিক মানুষ এশিয়ান হাইওয়ে (মদনপুর-জয়দেবপুর) রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। এসময় হাইওয়ে সড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এশিয়ান হাইওয়ের নয়াপুর বাজার এলাকায় এক ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারিরা।



বিক্ষোভকারীরা জানান, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের রতনমার্কেট-আমগাঁও সড়কটি সংস্কারের কাজ গত বছরের অক্টোবর মাসে উদ্বোধন করেন সাবেক সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। উদ্বোধনের ৪ মাস পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাদিম এন্টারপ্রাইজ সড়কটি খোড়াখুড়ি করে ৬ মাস ধরে ফেলে রাখেন। রাস্তাটি কেটে রাখায় একটু বৃষ্টি হলেই খালে পারিনত হয়। এতে রোগীসহ মানুষ মারা গেলেও সড়কটি ব্যবহার করে লাশ নিয়ে কবরস্থানে যাওয়াও যায় না। তাই এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করা বন্ধে এবং দ্রুত সড়কটিব সংস্কারের দাবিতে হাইওয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। এমন খবর পেয়ে তালতলা বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আব্দুল্লাহ্ আল মাহফুজ মুঠোফোনে দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা হাইওয়ে সড়ক থেকে সরে যান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি যেন ধান রোপণ করার উপযোগী। প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই একেবারেই কাঁচা। সামান্য বৃষ্টিতে এই রাস্তা যেন অভিশাপ নিয়ে আসে কয়েকটি গ্রামের মানুষের জন্য। গাড়ি তো দূরে থাক, হেঁটে পার হওয়াই মুশকিল। কয়েকটি গ্রামের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় প্রয়োজনের তাগিদে ওই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে। মাসের পর মাস কাদায় ডুবে থাকে এই রাস্তাটি। এতে চলাচলে দুঃসহ অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে যাওয়ার অভিযোগও করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম জানান, রাস্তার মাঝামাঝি মসজিদ হওয়ায় কয়েকমাস ধওে মসজিদে মুসল্লি আসাও কমে গেছে। বিশেষ কওে রাসেল ভাইপার আতঙ্কে ফজরের সময় কেউ হাটু পানি মাড়িয়ে এ রাস্তা দিয়ে মসজিদে আসতে ভয় পায়। তিনি দ্রুতগতিতে এ রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানান।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রফিকুল ইসলাম নান্নুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার মতামত জানান