দুদক ও ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত



নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পৌর এলাকায় দুদক ও ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবির প্রতিবাদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে ৪ গ্রামের নারী পুরুষ। সোমবার বিকেলে ষোলপাড়া ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে ওই চক্রের বিরুদ্ধে ষোলপাড়া, ভট্টপুর, লাহাপাড়া ও গাবতলী গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। এসময় চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রæত গ্রেপ্তারের দাবি করেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, মুজিবুর রহমান, সানাউল্লাহ, মোমেলা বেগম, আব্দুল আজিজ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তরা জানায়, উপজেলার ষোলপাড়া এলাকায় একটি জমি নিয়ে মুজিবুর রহমান ও আক্তার হোসেনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। গত ৭ মে দুপুরে আক্তার হোসেনের পক্ষ নিয়ে হাতকোপা গ্রামের হাফিজ মিয়ার ভাড়াটিয়া মোক্তার হোসেন মোক্তাদির নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে মো. দেলোয়ার হোসেন, জীবন আহমেদ, নাজমুল হোসেন জয়, জান্নাত জাহাসহ ৫-৭জনের একটি দল নিজেদের দুদক ও ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে বিরোধপূর্ন জমিতে গিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখায়। এসময় ওই বাড়ির লোকজন আতংকিত হয়ে দিববিদিক ছোটাছুটি করে। এসময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে ৩-৪ জন আহত হয়।
মানববন্ধনে মুজিবুর রহমান দাবি করেন, জমি ক্রয় করে আমি ভূমি অফিস থেকে নামজারি করে ভোগ দখলে রয়েছি। সম্প্রতি ভট্টপুর এলাকার আক্তার হোসেন নামের একজন এ জমি দাবি করে। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে বলতে তারা দেখাতে পারেনি। গত মাসের ৭ তারিখে আক্তার হোসেনের পক্ষ নিয়ে মোক্তার হোসেন মোক্তাদিরসহ ৫-৭জনের একটি দল গায়ে জ্যাকেট গায়ে জড়িয়ে নিজেদের ডিবি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান। পরবর্তীতে তাদের ব্যক্তিগত অফিসে দেখা করার কথা বলে নিয়ে ৫লাখ টাকা দাবি করে। এসময় একটি খাতায় আমাদের স্বাক্ষর রেখে দেয়।
সানাউল্লাহ নামের একজন জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় দুদক, ডিবি ও মানবধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের চাঁদাবাজিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাই।

মানববন্ধনে আব্দুল আজিজ বলেন, চাঁদাবাজরা সকলেই বহিরাগত। কেউ সোনারগাঁয়ের নাগরিক না। তারা সোনারগাঁয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে অফিস নিয়ে অপকর্ম করে বেড়ায়। এদের মধ্যে তিনজন আপন ভাই বোন।

অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন মোক্তাদিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয়। আমরা দুদক ও ডিবি পুলিশ পরিচয় দেইনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের মিমাংসা করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। তবে আমাদের গায়ে প্রেস জ্যাকেট ছিল।

আপনার মতামত জানান