সোনারগাঁয় আনন্দ বাজার এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র নদী খনন

প্রকাশিত




নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দ বাজার হাটে অবাধে নৌ চলাচলের জন্য মেঘনা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে খননকাজের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার ও পাইপলাইনের কাজ শেষ করেছে। মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকায় দু’একদিনের মধ্যে অংশে খননকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর শুধুমাত্র আনন্দ বাজার এলাকা খনন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কিলোমিটার নদীপথ খনন করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, আনন্দ বাজার হাটে নৌপথে ক্রেতা বিক্রেতাদের চলাচলের জন্য ইতিমধ্যে একটি জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। মেঘনা নদীর নব্যতার কারনে নদীর তীরবর্তী প্রায় এককিলোমিটার শুকিয়ে যাওয়ার কারনে ক্রেতাবিক্রেতাদের নৌযান জেটি পর্যন্ত আসতে পারে না। তাই জেটি সচল রাখার জন্য আনন্দ বাজার অংশে নদী খনন করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনন্দ বাজার এলাকায় মেঘনা নদী যেখানে দেখা যায় ১০০ বছর আগে তার অবস্থান ছিল আরও অনন্ত এক কিলোমিটার পূর্ব দিকে। তখন তো চৈত্র মাসেও নদীতে ভরা পানি থাকত। নদীই ছিল এ অঞ্চলের মানুষের জীবিকার মূল উৎস। নদী পথে কয়েকটি উপজেলার মানুষ এ হাটে আসব। হাটের দিনে এখানে উৎসবের আমেজ। কিন্তু পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে মালামাল বহন করতে অসুবিধার কারনে বর্তমানে শীত মৌসুমে হাটে লোক সমাগম হয় না বললেই চলে।

স্থানীয় বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিসদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার বলেন, ২০ বছর আগেও এ হাটটি ৬০-৮০ লাখ টাকায় ইজারা হতো। কিন্তু ৫০ বিঘা জমির এ হাটটির অধিকাংশ জায়গা নিচু হওয়ার কারনে বর্ষা মৌসুমে পানির নিচে তলিয়ে থাকে এবং উচু অংশ স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরি করায় হাটে আসা পাইকারদের মালামাল বিক্রির জায়গা কমে গেছে। এ জন্য হাটটি কেউ ইজারা নিতে সাহস পায় না। আমরা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি নদী খনন করে যে বালু উত্তোলন হবে তা দিয়ে হাটের নিচু অংশ ভরাট করে দেওয়ার জন্য। তারা আবেদর আবেদন এবং হাটের গতি ফিরিয়ে আনতে নিচু অংশ বালু ভরাট করতে সম্মত হয়েছে।


আপনার মতামত জানান