দেশি গরুর চাহিদাই বেশি
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর পশু হাটগুলো জমে উঠেছে। এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে রাজধানীতে ১৮টি পশুর হাট বসেছে। সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের মাত্র একদিন বাকি থাকায় শুক্রবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রেতা কোরবানির পশু কিনে বাড়ি ফিরবেন।
রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে ছোট-বড় নানা ধরনের নানা জাতের গরু উঠেছে।
ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, কথা বলছেন, দামাদামি করে গরু কিনেও ফিরছেন। তবে বেশির ভাগ ক্রেতার চাহিদা মাঝারি ধরনের গরু।
উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন ও আশিয়ান সিটিতে বসা হাট দুটিতেও কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আর ক্রেতাদের উপস্থিতিও কম নয়।
ক্রেতারা তাদের সাধ্যমত দামে পছন্দের পশুটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বগুড়ার নবাব ও লাট বাহাদুর নামে দুটি বড় জাতের গরু উত্তরার হাটে আনা হয়েছে। দুটির দাম চাওয়া হয়েছে ১৬ লাখ টাকা।
পশুর হাটে আসা অধিকাংশ ক্রেতাদের পছন্দ স্থানীয়ভাবে খামারে লালন-পালন করা দেশি গরু। অন্যদিকে এবার অনেক মানুষ অনলাইনে কোরবানির পশু ঘরে বসেই কিনতে পারছেন। দরদামে বনিবনা হয়ে গেলেই মোবাইল অথবা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পছন্দসই পশু কিনে ফেলছেন।
রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে দেখা যায়, ঈদের মাত্র একদিন আগে গরু-ছাগল কেনাবেচা জমে উঠেছে। মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা একটু বেশি। তবে হাটে বড় গরুর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। দাম একটু বেশি।
উত্তরার হাটে আসা পাইকারদের অনেকেই বলেছেন, এবছর পশুর হাটে ভারতীয় গরু নেই। আজ দুপুরের পর আবহাওয়া ভালো থাকায় হাটে কেনাবেচা ভালো হচ্ছে বলে গরু ব্যবসায়ী এবং হাটের ইজারাদাররা জানিয়েছেন।
উত্তরা ও তুরাগের ক্রেতারা বলছেন, গত বছর ছোট গরু ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা, মাঝারি আকৃতির গরু ৭৫ থেকে ১ লাখ টাকা এবং বড় আকৃতির গরু দেড় লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৩ লাখ টাকার মধ্যেই বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবছর গরুর দাম একটু বেশি। এ বছর ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার, মাঝারী গরু ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০। আর বড় জাতের গরু ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকায়।
উত্তরা বৃন্দাবন পশুর হাটের ইজারাদার আলহাজ মো. নূর হোসেন বলেন, হাটে এবার দেশি গরুর প্রাধান্যই বেশি। ক্রেতার উপস্থিতি বেশ।
ডিএমপির তুরাগ থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, উত্তরার গরুর হাটে ডিএমপির পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
আপনার মতামত জানান