সোনারগাঁয়ে কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সহিংসতার আশঙ্কা
পিরোজপুর ইউনিয়নের নাগেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , ভাটিবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেঘনা শিল্পনগরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের কিশোরগঞ্জ ও চরহোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারদীর গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুনেরটেক উচ্চ বিদ্যালয়, নুনেরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী, লাদুরচর, বিষনাদী ও গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী ও নয়াপুর সরকারি প্রাথমিক, জামপুর ইউনিয়নের পেরাব, মালিপাড়া, পেচাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলতাপাড়া মাদ্রাসা, কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেহাকৈর ও মঞ্জিরখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোশারফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজ, ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, সনমান্দী ইউনিয়নের চরলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মারুবদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে অত্যন্ত ঝঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নাগেরগাঁও, ৮নং ওয়ার্ডের ভাটিবন্দর ও ৯নং ওয়ার্ডের মেঘনা শিল্পনগরী প্রাথমিক বিদ্যালয়। জানা গেছে ৬নং ওয়ার্ডে শ্রমিকলীগ নেতা সাবেক মেম্বার এমএ হালিম ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত রফিকুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। গত ২২ নভেম্বর রফিকুল ইসলাম প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকের পিটিয়ে পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে আছেন।
এছাড়া পিরোজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে আফজাল হোসেন ও গোলজার হোসেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আওয়ামী নেতা গোলজার হোসেন তার প্রতিপক্ষ আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়াও আফজাল হোসেন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে ভোট কেন্দ্র হামলা করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন। অন্যদিকে আফজাল হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন।
পিরোজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন যুবদল নেতা আশরাফ প্রধান ও আওয়ামী নেতা ও বর্তমান মেম্বার সেলিম মিয়া। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংতার অভিযোগ এনেছেন।
কাঁচপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও ৪ নং ওয়ার্ডের মোশারফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজ বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমরের নিজস্ব কেন্দ্র হওয়ায় ভোটাররা আতঙ্কিত বলে জানা গেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এবার নির্বাচন হবে সোনারগাঁয়ের ইতিহাসে সবচে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যদি কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টির চিন্তাও করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত জানান