ভারতীয় জলদস্যুদের গুলিতে বাংলাদেশি জেলের মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরের মান্দার বাড়িয়া এলাকায় ভারতীয় জলদস্যুদের গুলিতে মুসা (৩০) নামের এক জেলে নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে কোষ্টগার্ড অভিযান চালানোর আগেই জলদস্যুরা পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত নয়টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মান্দারবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বরগুনা জেলা মৎসজীবী সমিতির সভাপতি ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ট্রলার মালিকের নাম বাবুল মিয়া।
ইমরুল কায়েস জানান জলদস্যু ট্রলারের আকার আকৃতি দেখে ভারতীয় ট্রলার বলে মনে হয়েছে বলে হামলার স্বীকার ট্রলারের জেলেরা জানিয়েছে।
বাংলাদেশি জেলেরা ট্রলার নিয়ে পোমা মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যান। জলদস্যুদের গুলিতে নিহত মুসা পাথরঘাটা সদর উপজেলার তল্লাটি পাড়ার হারুন মিয়ার পূত্র।
পাথরঘাটা মাঝি সমিতির সভাপতি দুলাল মাস্টার জানান, যে ট্রলার থেকে গুলি করা হয়েছে সেটি ভারতীয় ট্রলার।
ডাকাতির আক্রমণের স্বীকার ট্রলারের মাঝি বাবুল ফকির বলেন, ডাকাতদের কথায় ভারতীয় টান ছিল। ট্রলারটি ভারতীয় কিভাবে বুঝলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতীয় ট্রলার লম্বা সামনের দিক স্টীল বডি এছাড়াও ইঞ্জিন অনেক বড় ও দ্রুত গতির। ওদের একটি ট্রলারে বিশ পঁচিশজন লোক থাকতে পারে।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় জলদস্যুদের গুলিতে মো. মুসা মিয়া নামে এক জেলে নিহত হয়।
পাথরঘাটা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের মো. বাবুল ফকিরের মালিকানা এফবি বাবুল ট্রলারের ১২জন জেলে সুন্দরবনসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় জাল ফেলে অপেক্ষা করছিল।
রাত নয়টার দিকে হঠাৎ জেলে বহরে ২৫ থেকে ৩০ জনের সশস্ত্র জলদস্যু বাহিনী হামলা করে। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা মাছ রসদসহ সবকিছু লুটে নিয়ে যায়।
পরে ১২ জেলেকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় মুসা মিয়া নামে এক জেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে জলদস্যু বাহিনী দ্রুত ট্রলার চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট লুৎফুর রহমান বলেন, খবর শুনে তাৎক্ষণিক আমাদের ফোর্স পাঠানো হয় । ওদের ধরা সম্ভব হয়নি।
র্যাব- ৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্পের অধিনায়ক রাজিব ফারহান বলেন আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মুসার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের মাতম চলছে।
আপনার মতামত জানান