প্রধান আসামীদের বাদ দিয়ে চার্জসিট, বাদীর সংবাদ সম্মেলন
জমি সংক্রান্ত বিরোধে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় সহনাটি গ্রামের নজরুল ইসলামসহ (৪০) দুইজনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলাকারী হাসেম, মাহবুব, মনজুরুল, ফজলু, নাজমুল, মলি আক্তার, বজলুসহ ৪-৫ জনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
কিন্তু ওই মামলার তদন্ত শেষে গৌরীপুর থানা পুলিশ মূল হামলাকারীদের বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি পরিবারে ক্ষোভ-অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম (৪০)।
নজরুল জানান, ‘যে আমারে কোপাইলো পুলিশ তারেই চার্জশিট থাইক্ক্যা বাদ দিলো এখন তার পরিবারের লোকজনকে আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। আমার ওপর হামলাকারী মনজুরুল হকসহ আরো তিনজনকে পুলিশ মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম বলেন, তদন্তে যাদের অপরাধী হিসেবে পাওয়া গেছে, তাদের নামেই আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী ও আহত নজরুল ইসলামের ভাই সাইদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১০ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশি হাসেম দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়।
ওই ঘটনায় থানায় মামলা হলে গত ১০ অক্টোবর পুলিশ অভিযুক্ত মনজুরুল হক, মলি আক্তার ও বজলুকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
তিনি বলেন, আসামি মনজুরুল হক তার ভাই নজরুলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সে এখনো চিকিৎসাধীন। অপর আসামি মলি তার চাচা আব্দুল মান্নানের মাথায় আঘাত করে। ওই আঘাতে তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, মামলা করার পর থেকে পুলিশ এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু পুলিশ আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারটুকুও করেনি। আসামিদের গ্রেফতারেও পুলিশের আন্তরিকতা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে সাইদুল ইসলাম, তার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত জানান