তারেক জিয়ার আয়ের উৎস কী?
লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার লন্ডনের বিলাসী জীবনের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে ভার্চুয়ালি এক সভায় যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষকে দিতে, আর আরেক দল আছে খেতে- হাওয়া ভবন খাওয়া ভবন করে, এতিমের টাকা মেরে বিদেশে টাকা পাচার করে বিলাসী জীবন যাপন করছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা যখন হস্তান্তর করি তখন যে স্বাক্ষরতার হার রেখে গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে গিয়ে দেখি সেটি কমে গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন না বেড়ে কমে গেছে। বিদ্যুতের জন্য মানুষ হত্যা, সারের জন্য কৃষক হত্যা এই ছিল তাঁদের রাজনীতি। আজ সারাদেশ বিদ্যুতায়নের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে, যেখানে দুর্গম অঞ্চলে গ্রীড নেই, সেখানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুজিবের বাংলা অন্ধকারে থাকবে না। তিনি ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ রেখে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশের সাধারণ মানুষের অবদানের কথা স্মরণ করে, বিগত দিনে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের কথাও দুঃখের সাথে উল্লেখ করেন দলের নেতাকর্মীদের কাছে।
তিনি বলেন, মানুষের সুখ-দুঃখে সম্পৃক্ত না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দলই টিকতে পারেনা, বিএনপির আজকের অবস্থা তারই প্রমাণ। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দণ্ডিত অপরাধী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দন্ডিত অপরাধী তারেক বা এতিমের টাকা মেরে খাওয়া খালেদা জিয়া যে দলের নেতৃত্বে থাকে সেই দলের প্রতি মানুষ আস্থা রাখবে কিভাবে? আপনারা একবার লন্ডনে থাকা তারেক জিয়াকে প্রশ্ন করে দেখুন- এইদেশে তার বিলাসবহুল জীবনযাপনের আয়ের উৎস কি?
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য রাখেননি।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন, অধ্যাপক আবুল হাশেম, নঈমুদ্দিন রিয়াজ, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, মেহের নিগার চৌধুরী, ব্যারিস্টার এনামুল হক ও যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম মধু।
আপনার মতামত জানান