অনন্ত জলিলের যে স্ট্যাটাসে ফেসবুকে তোলপাড়
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল একজন ব্যবসায়ী। তিনি গার্মেন্ট ব্যবসা করেন। তিনি কমার্শিয়াল ইমপর্টটেন্ট পারসন খেতাবপ্রাপ্ত (সিআইপি)। খ্যাতিমান এই ব্যবসায়ী সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গার্মেন্টকর্মীদের উদ্দেশে দিয়েছেন এক জরুরি নোটিশ। সেই নোটিশে শ্রমিকদের দ্রুত কর্মস্থলে ফেরার তাগিদ দিয়েছেন। তার ওই স্ট্যাটাস নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় চলছে।
কী ছিল সেই নোটিশে?
করোনাভাইরাস ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে চিত্রনায়ক তার শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং শ্রমিকদের রোববার থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু সর্বাত্মক লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ। শ্রমিকরা কীভাবে কারখানায় ফিরবে সেই বাস্তবতা বেশ কঠিন। সরকারি নির্দেশ পেয়ে অনেকে গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
শ্রমিকদের এমন দুর্ভোগ দেখে অধিকাংশ নেটিজেনের ভাষ্য- গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রাম থেকে কীভাবে আসবে শ্রমিকরা?
অনন্তর এই স্ট্যাটাসে মাহবুব নামে একজন লিখেছেন, ‘শিল্পকারখানা খুলবে ১ তারিখে আর লকডাউন ৫ তারিখ পর্যন্ত। তবে গ্রামে আটকা পড়া শ্রমিকরা কি স্পেসশিপে করে ঢাকায় পৌঁছাবে?’
ফাহিম মোর্শেদ ইভান নাম একজন ব্যাঙ্গ করে লিখেছেন, ‘স্যার, কারখানা ‘The Factory’তে আসার জন্য গাড়ি ‘The Car’ দেবেন না?’
ফাতেমা নামের আরেকজনের ভাষ্য, ‘সবসময় বলেন আপনি শ্রমিক বান্ধব- এই তার নমুনা? আপনার সিনেমায় যেমন ক্ষমতা থাকে শ্রমিকদের তো তা নেই, একটাবার চিন্তা করলেন না, গণপরিবহন না চললে কীভাবে তারা ফিরবে? শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন, নয়তো গণপরিবহন চালুর ব্যবস্থা করুন।’
গাজী মোমিনা নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অনন্ত সাহেব, সারাদেশে লকডাউন আপনার কি জানা নাই? লকডাউন উপেক্ষা করে শ্রমিকগণ কি করে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকবে আপনার কি সেই সাধারণ জ্ঞানটুকুও নাই? শ্রমিকদের কি আপনার মানুষ বলে মনে হয় না? তাদের জীবন কি জীবন নয়? একটু বিবেচনাবোধ রাখা উচিত আপনাদের মতো মালিকদের।’
শামীম নামের ক্ষুব্ধ একজন লিখেছেন, স্যার, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনারা ফ্যাক্টরি খোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে দিনের পর দিন দৌড়া-দৌড়ি করেছেন। অথচ শ্রমিকদের যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপারে কোনো ধরনের সুপারিশ করেননি। আপনারা নোটিশ দিচ্ছেন কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে।’
তবে এমন অসংখ্য প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে অনন্ত জলিলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি ফেসবুকে।
সূত্রঃ যুগান্তর।
আপনার মতামত জানান