হাঁট গরম করছে ২৫ মণের ‘কালা পাহাড়’

প্রকাশিত

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলাবাসীর নজর কেড়েছে ২৫ মণ ওজনের ষাঁড় ‘কালা পাহাড়’। এই ষাঁড়টির মালিক উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দ্রা গ্রামের খামারি হাবিবুর রহমান শেখ।

জানা যায়, সাড়ে তিন বছর ধরে হাবিবুর রহমান শেখ এই হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন। এখন তিনি এই ষাঁড়টি বিক্রি করতে চাচ্ছেন। ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে ভিড় করেন খামারি হাবিবুর রহমানের বাড়িতে। তবে এখন পর্যন্ত এই ষাঁড়টির কোনো ক্রেতা দাম হাঁকাননি বলে জানিয়েছেন ওই খামারি।

খামারি হাবিবুর রহমান জানান, সাড়ে ৫ ফিট উচ্চতা ও ৮ ফুট লম্বা এই ষাঁড়টির ওজন ২৫ মণ। ষাঁড়টি দেখতে কালো বর্ণের হওয়ার কারণে তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘কালা পাহাড়’।

কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুসি, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, খড়, চিটাগুড় খাওয়াইয়ে প্রাকৃতিকভাবে ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন।

তিনি বলেন, সাড়ে তিন বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করতে আমার প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ষাঁড়টির পেছনে আমার ৮০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আমি সাত লাখ টাকা হলে ষাঁড়টি বিক্রি করব।

মান্দ্রা গ্রামের ইব্রাহিম শেখ বলেন, জীবনে আমি এত বড় গরু দেখিনি। আমার মনে হয় কোটালীপাড়ার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় গরু। হাবিবুর রহমান অনেক কষ্ট করে এই গরুটি লালন-পালন করেছেন। তিনি যদি এই গরুটি এখন ভালো দামে বিক্রি করতে না পারেন, তা হলে তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার দাস বলেন, হাবিবুর রহমানের মতো অনেক খামারিই আমাদের কাজ থেকে পরামর্শ নিয়ে ষাঁড় পালন করেছেন। এরা যদি এ বছর এই ষাঁড় বিক্রি করে লাভবান হয়, তা হলে আগামীতে এদের মতো অনেকেই ষাঁড় পালনে আগ্রহী হবেন।

আপনার মতামত জানান