কিশোর বয়সের মানসিক স্বাস্থ্য
কিশোর বয়সে এসে ছেলেমেয়েদের মন মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন আসে। বাস্তবতার চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দেয় এই বয়সীরা। অন্যের দ্বারাও খুব বেশি প্রভাবিত হয়। এই সময়টাতে পা পিছলে গেলে জীবনের পরবর্তী ধাপে অন্ধকার নেমে আসে। কিন্তু যদি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলেই সুন্দর ও মসৃণ পথ সম্ভব।
আবেগের বশে পড়ে কিশোর বয়সে অনেকেই অনেক ভুল করে ফেলে এবং এর জন্য পরে অনুশোচনা করতে হয়। এই বয়সটাতে প্রায় সময়ই এই ঘটনা ঘটে। এ থেকে মুক্তির জন্য ছেলেমেয়েদের নিজেদের পাশাপাশি তাদের পিতামাতাকেও কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।
পিতামাতার করণীয়:
১.বাবা মায়ের এই বয়সটাতে উচিত ছেলেমেয়েদের সাথে বন্ধুর মত সম্পর্ক রাখা। তাদের নিজেদের আবেগ- অনুভূতি ভাগাভাগি করে নেওয়া সুযোগ দিন।
২. নিজেদের মত করে চিন্তা না করে সন্তানের মত করে ভাবুন। তবে তা যেনো অবশ্যই সন্তানের ভালোর জন্য হয়।
৩. সন্তান কোন সমস্যায় পড়লে খোলাখুলি কথা বলুন এবং কীভাবে তার সমাধান হতে পারে সে বিষয়ে কথা বলুন।
৪. ছেলেমেয়েদের অনুপ্রেরণা যোগান, তাদের সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করুন।
পিতামাতার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের উচিত এই বয়সে পড়াশোনার প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া। এছাড়া বই পড়া, পচ্ছন্দের গান শোনা, নিজের পচ্ছন্দের কাজ করার মাধ্যমে সময় কাটানো যেতে পারে। চেষ্টা করতে হবে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার।
সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ।
আপনার মতামত জানান