যশোরে ককটেল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে গ্রামে আতঙ্ক

প্রকাশিত

যশোরের চৌগাছায় ককটেল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে একটি গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার পিতাম্বরপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের বাড়ির খড়ির মাচার নিচ থেকে ককটেলটি উদ্ধার করা হয়। গ্রামের লোকজনকে ফাঁসাতে চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী চক্র বোমাটি রাখতে পারে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।

শনিবার (১৫ মে) দুপুরে জনৈক আব্দুল মালেকের স্ত্রী পারুল বেগম খড়ির মাচার নিচ থেকে হাঁস বের করতে যান। এ সময় একটি লাল শপিং ব্যাগ দেখতে পান তিনি। শপিং ব্যাগে লাল টেপ জড়ানো বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে তিনি আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। এ সময় তারা আতঙ্কিত হয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। ফোন পেয়ে থানার এসআই মো. এনামুল বস্তুটিকে ককটেল বোমা নিশ্চিত করে সেটি উদ্ধার করেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পিতাম্বরপুর গ্রামে একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। তাদের কাছে অস্ত্র ও বোমা আছে। ইতিপূর্বে ওই সন্ত্রাসী চক্র বোমা ফাটানোসহ ফাঁকা গুলিবর্ষণও করেছে প্রকাশ্যে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বোমা উদ্ধারের ফলে আতঙ্কে আছেন বলে তারা জানান।

বাড়ির মালিক আব্দুল মালেকসহ আশপাশের লোকজন বলেন, তাদের ফাঁসাতে এই ককটেল বোমাটি কোনো একসময় রাখা হয়েছে।

ছেলে আব্দুস সালাম জানান, এ গ্রামে কারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা সবাই জানে। তারাই আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য বোমাটি রেখেছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, সন্ত্রাসী চক্র যদি বোমাটি না রাখে তাহলে এই বোমা কোথা থেকে আসবে? এই বোমার কারণে আমরা আতঙ্কে আছি। শুধু তা-ই না, গ্রামের মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী চক্রটি গড়ে উঠেছে। গ্রামে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে চক্রটি নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। গ্রামের লোকজন ওই সন্ত্রাসীদের কেউ পছন্দ করে না। তাদের নানা অপরাধমূলক কাজেও সমর্থন করে না। যে কারণে গ্রামের মানুষকে ফাঁসাতে ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে এই বোমা রাখা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে থানার এস আই এনামুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ককটেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করছি।

 

আপনার মতামত জানান