নাটোরে কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত

নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের দিনমজুর আব্দুল জোব্বার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। হতদরিদ্র সংসারের হাল এখন তার সহধর্মিণী হাসিনা বেগমের (৪৫) কাঁধে। উত্তর দমদমা মাঠের একটি সরকারি খালে ৫ কাটা বোরো ধান লাগিয়েছেন। কিন্তু অল্প জমি হলে যা হয়। কোনো শ্রমিকের চোখেই যেন ধরে না।

অবশেষে সেই নারীর আকুতি শুনলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার ভোরে সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজের ভিপি সবিজ ইসলাম জুয়েলের নেতৃত্বে অর্ধশত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় ওই নারীর ধান কেটে দেন।

পরে পাশের দরিদ্র আরও তিন কৃষক আব্দুল মান্নান, মোস্তাফিজুর ও আরিফ হোসেনের দুই বিঘা জমির ধান কেটে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

রোজা থেকে হতদরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে দেওয়ায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বৃদ্ধ নারী হাসিনা বেগম বলেন, স্বামী অসুস্থ সামান্য জমির ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ছালপাল ধান কেটে দেওয়ায় খুব আনন্দ লাগছে। আমি খুব খুশি।

কৃষক আব্দুল মান্নান ও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অল্প জমির ধান কেউ কেটে দিতে চায় না। আর কাটলেও বেশি টাকা গুনতে হয়। তাই নিজেই অল্প অল্প করে কাটার চেষ্টা করছিলাম। খবর পেয়ে বাড়ির পাশের কলেজের ছাত্ররা আজ ধান কেটে দিচ্ছে। এটা খুবই ভালো লাগছে।

সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজ সংসদের ক্রিয়া সম্পাদক রেজাউল করিম রাজিব বলেন, চলনবিলের বোরো ধান কৃষকের চাহিদা মিটিয়ে সিংগভাগই অন্যান্য জেলার চাহিদা মেটায়। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে চলনবিলের কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ।

সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজের ভিপি সবিজ ইসলাম জুয়েল বলেন, বিগত দিনের বন্যা ও করোনায় মানুষের বিপদে-আপদে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চলনবিলের অল্প জমি হলেই শ্রমিকরা ধান কাটতে চায় না। তাই প্রতি বছরের ন্যায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে চলনবিলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ।

সূত্রঃ যুগান্তর

আপনার মতামত জানান