নারায়ণগঞ্জে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ২১০, নতুন শনাক্ত ৫৭
দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। তবে, এরই মধ্যে গতকাল রবিবার থেকে দোকান-শপিং মল খোলার অনুমতি পেয়েছে। আর আগে থেকেই কলকারখানা চালু রয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে দুই মেয়াদের এ লকডাউন সারাদেশে চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। পর দিন থেকে গণপরিবহন চালু হওয়ার কথা। এমন পরিস্থিতিতে সারাদেশ করোনার মৃত্যু ও শনাক্ত স্বাভাবিক হয়নি। নারায়ণগঞ্জেও প্রতিদিন মৃত্যু বেড়ে চলছে, শনাক্তও হচ্ছে প্রতিদিন।
নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ বছরের আরও একজন পুরুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যু সংখ্যা দাড়াঁলো ২১০। একই সাথে৫৭ জনের শরীরে নুতন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) এমনই তথ্য মিলেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ি, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য। নতুন৫৭ জনসহ এপর্যন্ত ১২ হাজার ৬শত ৩৩ রোগী তালিকা ভূক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৯৪জন। আর ২১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দুই মাসের ‘লকডাউনে’ জনজীবন একপ্রকার অচল ছিল। এরপর সংক্রমন কমার সঙ্গে সঙ্গে বিধিনিষেধও ধীরে ধীরে শিথিল হতে থাকে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে জেলায় দৈনিক শনাক্তের হার নেমে এসেছিল মাত্র দশের কোঠায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে দ্রুত গতিতে।
এ অবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি মোটেও কার্যকর হয়নি। তাই ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেয় সরকার। পরবর্তিতে তা আবার বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করে। সূত্রঃ লাইভ নারায়ণণগঞ্জ।
আপনার মতামত জানান