৯ বছর পর জীবিত হলেন আব্দুল আওয়াল
‘আপনি কিভাবে মারা গেলেন?’ এমন প্রশ্নই ছিল মিথিলা ফারজানার। উত্তরে আব্দুল আওয়াল বললেন, ‘আমি মারা যাইনি, আমি জীবিত আছি’। এমনই এক অদ্ভুত নাটকীয়তার অবতারণা হলো সোমবারের একাত্তর জার্নালে।
নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে গত ৯ বছর ধরে সরকারি দপ্তরে প্রতিনিয়ত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছিলেন নেত্রকোণার স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল আওয়াল (৩১)। অবশেষে একাত্তর জার্নালে উপস্থিত হয়ে নিজের কথা জানানোর পর নড়ল প্রশাসনের টনক। হালনাগাদ হয়েছে তার জাতীয় পরিচয় পত্র।
আওয়াল নেত্রকোণার মদন উপজেলার সদর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদপত্রের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আওয়াল জানালেন তার সাথে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত ঘটনার আদ্যপান্ত।
আব্দুল আওয়াল জানালেন ২০১২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তাকে মৃত উল্লেখ করা হয়। এরপর প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে একেরপর এক আবেদন করতে থাকেন আওয়াল।
এ ভুলের কারণে চাকরির আবেদনের পাশাপাশি সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য করোনার টিকা পর্যন্ত দিতে পারেননি আব্দুল আওয়াল। এ নিয়ে খুবই দুর্বিষহ দিন অতিবাহিত করছিলেন তিনি।
আওয়াল আক্ষেপ করে বলেন, নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে গত ৯ বছর ধরে উপজেলার নির্বাচন অফিসে ঘুরছি। নির্বাচন অফিসাররা আশ্বাস দিলেও এখনও জীবিত হতে পারলাম না। আমি জানি না কবে জীবিত হতে পারব।
মিথিলা ফারজানার উপস্থাপনায় একাত্তর জার্নাল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আব্দুল আওয়াল। ১৯ এপ্রিল এই অনুষ্ঠান প্রচারিত হবার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় ব্যাপক।
অবশেষে প্রশাসনের টনক নড়েছে। আজ সংশোধিত জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পেয়েছেন বলে একাত্তরকে নিশ্চিত করেছেন এই সাংবাদিক।
আপনার মতামত জানান