২৪ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জ খালি করে খেলব ঢাকায় গিয়ে
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এখন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী পা গেড়ে বসে আমার নেত্রীর সাথে কথা বলে। আপনাদের শিখতে হবে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি সেলফিও তোলে। এগুলো সাবজেক্ট না।
সাবজেক্ট হলো বাংলাদেশের মানুষ তাকে বিশ্বাস করে।
আজ সোমবার বিকেলে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে ঘিরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে নিন্ম আয়ের দেশে নিয়ে আসলেন।
আর আমরা তাকে নির্বংশ করে দিলাম, দুটো মেয়ে বাঁচল শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা। সেই শেখ হাসিনা প্রতিশোধ নেননি। একুশ বছর আমরা সংগ্রাম করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো আল্লাহওয়ালা দেশপ্রেমিক আমি খুব কম দেখেছি।
ওরা হাওয়া ভবন খাওয়া ভবন করে লুটপাট করল। আগে এ দেশে কেউ আসত না। এখন দেখি সকালে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসে। কারণ শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’
আমরা কখন বড় হয়েছি টের পাইনি উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘জীবন কেটেছে মসজিদের ছাদে শুয়ে শুয়ে।
বিয়ে করতে গিয়েও গ্রেপ্তার হয়ে গেলাম। কোনোরকমে হাত-পা ধরে ছাড়া পেয়েছি। আমার প্রথম বাচ্চা হলো সেটাও জেল থেকে শুনলাম। আর যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, আমরা কত আগে জাপানের মতো দেশ হতাম।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘সকালে উইঠা যদি জোরে কাশি দেই, হাফপ্যান্ট পইড়া নারায়ণগঞ্জ খালি হয়ে যাবে। আবার একজন আসে পলিটিকাল প্রস্টিটিউট। একবার আওয়ামী লীগ তারপর জাতীয় পার্টি পরে আবার আওয়ামী লীগ এখন আবার বিএনপিতে গিয়েছে। এদের আদর্শ বলতে কিছু নেই। নাম বলব না। আমি নাম বললে আবার নেতা হয়ে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনার মাকে নিয়ে গালি দিলে কী ছেড়ে দেবেন। আজ অশ্লীল ভাষায় শেখ হাসিনাকে নারায়ণগঞ্জে রাস্তায় গালি দেয়। হুজুর বলে নান্নু সোহাগকে পায়ের নিচে পিষে ফেলবে। আমি বললাম দেখি বড় বড় মন্ত্রী-নেতারা কী করে। তাদের দেখলাম না। চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতি ছেড়ে দেন। আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে সুন্দর দেশ দিতে চাই। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের না। শেখ হাসিনা আগামী দিনের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে দরকার।’
আমি বলেছি পুলিশও তোদের দিলাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এবার বল কবে নামবি? আমাকে গালি দিলে আপত্তি নেই। কখন নামতে চাস, খেলতে চাস বল। চব্বিশ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জের এক মাথা থেকে আরেক মাথা শেষ করে দিয়ে ঢাকায় গিয়ে খেলব। ওদের জন্য আমাদের মহিলারাই যথেষ্ট।’
আপনার মতামত জানান