হোমনায় আগুনে পুড়ে গেছে বসতঘর
সৈয়দ আনোয়ার,হোমনা(কুমিল্লা)প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় আগুনে পুড়ে গেছে বসত বাড়ি। নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার,ফার্নিচার সহ পুড়ে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক পরিমান অন্তত ১৫ লাখ টাকা।
আজ রবিবার সকাল ১১.৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর (পশ্চিম আড়ালিয়া) গ্রামে মাওলানা বিল্লাল হোসেনের ঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এতে অন্তত প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী জানান,অগ্নিকান্ডের সময় তারা বাড়িতে ছিলেন না এবং ঘরটি তালাবদ্ধ ছিলো। আজ সকাল ১১.৩০ মিনিটের দিকে মোঠোফোনে তার বসত ঘরে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখেন,বসতঘর সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার,ফার্নিচার সহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে যার আনুমানিক মুল্য ১৫ লাখ টাকা হবে।
এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানায় সকাল আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে প্রথমে তারা তালাবদ্ধ ঘরটির টিনের চালার উপরে ধোয়া দেখতে পান, এবং মূহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়াতে থাকে। স্থানীয়ার সম্মিলিত ভাবে আগুন নিভানোর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও বাতাসের তীব্রতায় ৩০ মিনিটিরে মধ্যেই ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে আশেপাশের লাগোয়া ঘর গুলো বাঁচাতে তারা চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ফায়ারসার্ভিস হোমনা উপজেলা শাখার একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা যায় অগ্নিকান্ডের পরপর ঘটনাস্থলে আসেন ৪ নং চান্দেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক,এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে শান্তনা দেন এবং সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস হোমনা উপজেলা শাখার ইনচার্জ ওসমানগনি জানান বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে গাড়ি নিয়ে রওয়ানা হলেও, হোমনা চৌরাস্তা এলাকায় ড্রেনের কাজ চলার কারণে জ্যাম থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। তবে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ সহ লাগোয়া অন্য ঘর গুলো বেঁচে যায়। অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত সম্পর্কে তিনি বিদ্যূতের শর্টসার্কিট হতে পারে বলে ধারনা করেন। এবং পুড়ে যাওয়া ঘরটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা হতে পারে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত জানান