হাদিসুরের ভাই সরকারি চাকরি পাবেন

প্রকাশিত

বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ-প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের দুই ভাইয়ের যে কোনো একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন হাদিসুরের মা বাবাকে এমন কথা জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার (১৪ মার্চ) রাতে হাদিসুরের মৃতদেহ বরগুনার বেতাগীর কদমতলা গ্রামে নিয়ে আসার পরে তার বাবা-মাকে এই কথা জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, হাদিসুরের মৃত্যুতে উপজেলা প্রশাসন শোকাহত ও মর্মাহত। হাদিসুরের অভাব অপূরণীয়। হাদিসুর তার বাবা-মা ও দু্ই ভাইয়ের পুরো খরচ বহন করতেন। এই পরিবারের পাশে প্রশাসন থাকবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে হাদিসুরের সেজ ভাই মো. তারেক অথবা ছোটো ভাই গোলাম রহমান প্র্রিন্স এর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করে ‍সুযোগ হলেই তাকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে স্বজনরা তার লাশ নিয়ে বরগুনার বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে পৌঁছান। লাশ পৌঁছানোর পর সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। লাশ দেখে আর্তনাদ আর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। তার মা রাশিদা বেগম, বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও ভাই তরিকুল ইসলাম লাশ দেখে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। মূর্ছা যাচ্ছিলেন স্বজনরা।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লাশ গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ১টার দিকে লাশ নিয়ে হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা।

তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে হাদিসুর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা আব্দুর রাজ্জাক অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক, মা রাশিদা বেগম গৃহিণী। বড় বোন সানজিদা আক্তার পেশায় নার্স। ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স ঢাকায় লেখাপড়া করেন। মেজো ভাই তরিকুল ইসলাম থাকেন পটুয়াখালীতে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।

আপনার মতামত জানান