ডোমার প্রতিনিধি >>
নীলফামারীর ডোমারে আসন্ন মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পর্বে স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানকে সম্পৃক্ত করার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডোমার ইউএনওকে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। এর আগেও ২০১৯ সালে একই কারণে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, আসন্ন স্বাধীনতা দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আয়োজন করেছে ডোমার উপজেলা প্রশাসন। আসন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পর্বে যারা অংশ নেবেন সেখানে এক তালিকাভুক্ত রাজাকারের সন্তান উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের নাম যুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকল সদস্য ওই অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই আয়োজনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পর্বে একজন চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানকে বিরত রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ডোমার ইউএনওকে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পর্বে ওই উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের নাম ঘোষণা হওয়ায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকল সদস্য।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. নুরন নবী জানান, গত বিজয় দিবস আমরা প্রশাসনের অনুষ্ঠান বর্জন করেছি। কারণ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার পতাকা কোনো রাজাকারের সন্তান উত্তোলন করুক তা আমরা চাই না। এবারও যদি ওই রাজাকারপুত্র উত্তোলন করেন, তাহলে এবারও প্রশাসনের অনুষ্ঠান বর্জন করা হবে। আমরা আলাদাভাবে অনুষ্ঠান করবো।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম জানান, অনেকজন মুক্তিযোদ্ধা এসেছিলেন। এর আগে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও এ সমস্যা হয়েছিল। ২০১৯ সালের আয়োজনে উপজেলার একজনের নাম থাকার কারণে মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠান বর্জন করেছিলেন। ওই ব্যক্তির নাম থাকলে এবারও বর্জন করবেন বলে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা।
তবে নীতিমালায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত জানান