স্টিভ জবসের দশ উক্তি, জীবনকে বদলে দিতে পারে

প্রকাশিত

কর্পোরেট জগতের শীর্ষ সফল ব্যক্তিত্ব স্টিভ জবসকে নিশ্চয় আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না। ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি তিনি এক মহা দার্শনিক হিসেবেও পরিচিতি পেয়ে ছিলেন। যা তার নানা উক্তিতেই ফুটে উঠেছে। তার অন্তত শ’খানেক উক্তি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর যারা তার উক্তিগুলোকে অনুসরণ করেছেন তাদের অনেকেই দাবি করেছেন তারা স্টিভ জবসের মাত্র একটি উক্তি মেনে চলেই জীবনে সাফল্য পেয়েছেন।

এখানে স্টিভ জবসের এমন দশটি উক্তি উল্লেখ করা হলো যেগুলোর গভীরতা উপলব্ধি করতে পারলে আপনার মধ্যে ইতিবাচক অনুভুতি এনে দেবে।

১.‘আপনার সময় সীমিত, সুতরাং অন্য কারো জীবন যাপন না করে বরং নিজের জীবনটাই যাপন করুন। ’

২.‘কখনোই নিজের মতামতকে অন্যের মতামত দ্বারা প্রভাবিত হতে দেবেন না এবং আপনার ভেতরের স্বরটি থেকে অন্যের আওয়াজ বের হতে দেবেন না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের হৃদয় এবং স্বজ্ঞাকে অনুসরণের সাহস ধারণ করুন।

৩.‘গত ৩৩ বছর ধরেই প্রতিদিন সকালে আয়নার দিকে তাকিয়ে আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করে আসছি: ‘আজ যদি আমার জীবনের শেষদিন হয় তাহলে আমি আমার আজ যা করনীয় তা করতে চাইব? আর যখনই এই প্রশ্নের জবাবে আমি একাধারে বেশ কয়েকদিন ‘না’ উত্তর শুনেছি তখনই আমার মনে হয়েছে এবার হয়তো আমার মধ্যে কিছু একটা পরিবর্তন আনতে হবে। ’

৪.‘গোরস্থানের শীর্ষ ধনী হওয়াটা আমার কাছে কোনো অর্থ বহন করে না। বরং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় এই কথা বলতে পারাটাই আমার কাছে বেশি আকাঙ্খিত যে, আমরা আজ বিস্ময়কর কিছু একটা করতে পেরেছি। ’

৫.‘আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই আপনার ভবিষ্যতকে রুপদানে কাজ করে। সুতরাং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকেই সঠিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।

৬.‘নিজের চিন্তাকে সরল করার জন্য পরিষ্কারভাবে চিন্তা করতে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ পরিষ্কারভাবে চিন্তা করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা। ’

৭.‘উদ্ভাবনই একজন নেতা ও একজন অনুসরণকারীর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দেয়। ’

৮.‘অসাধারণ সব কাজ করুন এবং সামনে এগিয়ে যান। আমি মনে করি আপনি যদি এমন কোনো কাজ করেন যা প্রশংসা কুড়ায় তাহলে আপনার উচিত আরো ভালো কোনো কাজ করা। একটি প্রশংসার কাজ নিয়েই বেশি দিন পড়ে থাকবেন না। সবসময়ই এরপর কী করা যায় তা নিয়ে ভাববেন। ’

৯.‘সামনের দিকে তাকিয়ে আপনি বিন্দুগুলোকে যোগ করতে পারবেন না। আপনি শুধু পেছন দিয়ে তাকিয়েই সেগুলিকে যুক্ত করতে পারেন। সুতরাং আপনাকে সেই বিন্দুগুলোর ওপর আস্থা স্থাপন করতে হবে যে সেগুলো কোনো না কোনোভাবে আপনার ভবিষ্যতে যুক্ত করবে। আপনাকে নিজের শক্তি, নিয়তি, জীবন, কর্ম এসবের ওপর আস্থা রাখতে হবে। ’

১০.‘এই মুহূর্তে আপনিই হলেন নতুন। কিন্তু সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আপনি বুড়িয়ে যাবেন এবং দূরে সাফ হয়ে যাবেন। খুব বেশি নাটকীয়তার জন্য দু:খিত, কিন্তু এটা পুরোপুরি সত্য।

’ সূত্র: বোল্ড স্কাই

আপনার মতামত জানান