স্কুল ছাত্রীকে এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণ
রাজবাড়ীতে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণের পর এক মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
জানা যায়, গত রোববার রাতে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও মামলার আসামি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বড়মুরারীপুর গ্রামের শুকুর আলী ওরফে সুকচানের ছেলে অপহরণকারী শিপন (২২) ও শিপনের মা জোসনাকে (৪২) গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার অপর আসামি শিপনের ছোটভাই বাবু পলাতক রয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে শিপন উত্ত্যক্ত করত। পরে শিপনের উত্ত্যক্তের ঘটনাটি মেয়ে আমাদের জানালে সে রেগে গিয়ে ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।
পরে গত ১০ এপ্রিল তার মেয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্কুলে যায়। সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়।
অবশেষে মেয়েকে না পেয়ে ২ মে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরর্বতীতে তারা জানতে পারেন ১০ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে তার মেয়ে রাজবাড়ীর কাজীবাঁধা মোড়ে পৌঁছলে শিপনের নেতৃত্বে আসামিরা তাকে একটি মাইক্রোবাসে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি নির্জন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
শিপনের মা–বাবার কাছে তার মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা নানারকম টালবাহনা শুরু করে। উপায়ন্তর না দেখে তিনি থানায় একটি মামলা করেন।
সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত শিপন একটি দুষ্টু প্রকৃতির ছেলে। থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মারামারি মামলা রয়েছে। মামলার পর শিপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্র যুগান্তর।
আপনার মতামত জানান