স্কুল কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যান সহ আহত-৫

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ওই ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সহ পাঁচ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য দাইয়ান মেম্বারকে উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়াদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার বারদী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কমিটি নিয়ে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাবুল ও জমিদাতা সাইদ সরকারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যান বাবুল এমপির স্বাক্ষর জাল করে উপানুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে সভাপতি হওয়ায় জমিদাতা সাইদ সরকার স্কুল কমিটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিষয়টি তদন্তের জন্য থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেন আদালত। এদিকে তদন্ত চলাকালিন সময়ে গতকাল বুধবার দুপুরে বারদী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল ও তার ভাই আমিনুল স্কুলে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষক মো: মোস্তফাকে সভা আহবান করার জন্য বলেন। এসময় প্রধান শিক্ষক চেয়ারম্যান বাবুলকে বলেন কমিটি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা না পেলে মিটিং করা সম্ভব নয়। চেয়ারম্যান বাবুল মিটিং করতে স্কুলে এসেছেন এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাবুলের প্রতিপক্ষ জমিদাতা ও মামলার বাদি সাইদ সরকার ও সাবেক ইউপি দাইয়ান সরকার সদস্য স্কুলে এসে লায়ন বাবুলের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান বাবুল সাবেক ইউপি সদস্য দাইয়ানকে বুকে ঘুষি মারলে দাইয়ান মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। পরে দাইয়ান মেম্বারের লোকজন চেয়ারম্যান বাবুল ও তার ভাই আমিনুলকে পিটিয়ে আহত করে। সংঘর্ষে দুপক্ষের পাঁচজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সাবেক ইউপি সদস্যকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে জমিদাতা সাইদ সরকার জানান, বারদী স্কুলটি আমাদের জমির উপর তৈরী। সেজন্য আমি এমপি সাহেবের ডিও লেটার নিয়ে শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছি সভাপতি পদের জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যান বাবুল এমপির স্বাক্ষর নকল করে ভূয়া ডিও লেটার দিয়ে স্কুলের সভাপতি হয়েছেন। সে জন্য আমি আদালতে একটি ভুয়া স্বাক্ষরের মামলা দায়ের করে কমিটি বাতিলের আবেদন করেছি। এর মধ্যে লায়ন বাবুল চেয়ারম্যানের প্রভাব দেখিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে মিটিং করার জন্য প্রধান শিক্ষককে হুমকি প্রদান করে। খবর পেয়ে আমরা স্কুলে আসলে লায়ন বাবুল ও তার লোকজন আমাকে ও আমার লোকজনকে মারধর করে আহত করে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাবুল বলেন, আমি বৈধভাবে স্কুল কমিটির সভাপতি হয়েছি। আমার লোকজন নিয়ে মিটিং করতে আসলে তারা হামলা চালায়।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান