সোনারগাঁয় বাড়িওয়ালার ৭ বছরের শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত




নারায়াণগঞ্জের সোনারগাঁয় বাড়িভাড়ার ছয় মাসের বকেয়া টাকা চাওয়ায় বাড়িওয়ালার ৭ বছরের কন্যাশিশুকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২১ এপ্রিল রবিবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়িচিনিশ এলাকার সুমন প্রধানের ৭ বছরের কন্যা শিশু দোয়াকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেন তার ভাড়াটিয়া সঞ্জয় কুমার পাল ও তার বাবা মনিশংকর পাল।

আহত শিশুর বাবা বাড়ির মালিক সুমন প্রধান জানান, গত দুই বছর ধরে যশোর জেলার মনিরামপুর থানার ঢাকুরিয়া এলাকার সঞ্জয় কুমার তার স্ত্রী-পরিবার নিয়ে ৫তলা ভবনের ৪র্থ তলায় ভাড়া থাকছেন। গত ছয় মাস ধরে ভাড়া না দিয়ে নানা রকম তালবাহানা করে আসছে। এ নিয়ে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত ১২ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আমার ৭ বছরের শিশুকন্যা দোয়াকে ডেকে নিয়ে দরজা লাগিয়ে মারধর করে শরীরে নিলাফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সঞ্জয় কুমার, তার স্ত্রী ও তার বাবা মনিশংকর পাল দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আমার মেয়ের জামায় আগুন লাগিয়ে দেয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, আগুনের যন্ত্রনায় শিশুটির ডাক চিৎকারে তার বাবা সহ বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও আশপাশের লোকজনের সহায়তায় সঞ্জয় কুমার পালের ভাড়া ফ্লাটের দরজা ভেঙ্গে গুরতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে। শিশুটির শরিরের অনেকাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সুযোগে সঞ্জয় কুমার পাল ও তার স্ত্রী পালিয়ে গেছে। আহত দোয়া হাসপাতালে গত দেড় মাস ধরে চিকিৎসাধীন আছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকায় অভিযোগ করতে দেরী হয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী পাষন্ড সঞ্জয় কুমার পাল, তার স্ত্রী ও তার বাবা শনিশংকর পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি সত্যিই অমানবিক। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনার মতামত জানান